দর্শনায় ৪টি বোমা সদৃশ বস্তুসহ কারিগর আটক
Published: 20th, February 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড (চিনিকল) চত্বরে এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন দফায় ৬টি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এবার ৪টি বোমা সদৃশ বস্তুসহ আলীহিম নামের এক কারিগরকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) জাকিয়া সুলতানার নেতৃত্বে দর্শনার পার্শ্ববর্তী আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্য থেকে বোমা সদৃশ বস্তু গুলো উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) জাকিয়া সুলতানা জানান, চিনিকল পল্লীতে দফায় দফায় বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধারে ঘটনায় আমরা তল্লাশি অভিযান শুরু করি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত পূর্বক আটক করার জন্য জাল বিস্তার করা হয়। আটক আলীহিম (৫২) উপজেলার দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের আজিজুল হক মল্লিকের ছেলে। সে এক সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।
তিনি বলেন, আলীহিমের শ্বশুর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাদের এক পর্যায়ে আলীহিমের শ্বশুর বাড়ির সামনের একটি বাঁশঝাড়ের মধ্য থেকে ৪টি বোমা সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়।
দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর বলেন, এর নেপথ্যে আর কারা জড়িত আছেন, কে এর মাস্টার মাইন্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে অভিযান চলমান আছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফিরিয়ে দিল ভারত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মাধবখালী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক শহীদুল ইসলামের (৩৭) মরদেহ ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যদের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ জীবননগর থানা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
ঝিনাইদহে আলমসাধু চালকের মরদেহ উদ্ধার
মরদেহ গ্রহণকালে মহেশপুর ৫৮-বিজিবির সহকারী পরিচালক মুন্সী ইমদাদুর রহমান, শহীদুলের বাবা লস্কর আলী মালিতা, ছোট ভাই রুহুল আমিন, স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিনা খাতুন ও সাইফুল ইসলাম পাকু উপস্থিত ছিলেন।
মহেশপুর ৫৮-বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২৯ নভেম্বর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হন শহীদুল। এ ঘটনায় ৩০ নভেম্বর বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক করে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানোর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব