অভিনয়ের পাশাপাশি একটা সময় রাজনীতিতে সক্রিয় হন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পায়েল সরকার। বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্ব আসনে নির্বাচন করেছেন তিনি। তবে খুব বেশিদিন রাজনীতির মাঠে কাজ করেননি। হঠাৎ রাজনীতি থেকে সরে আসেন পায়েল।

২০ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনীতি ছাড়ার বিষয়ে কথা বলেছেন পায়েল। তিনি জানান, রাজনীতি বিষয়টা একেবারে আলাদা পেশার মতো। তাই অভিনয় ছেড়ে রাজনীতি করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

পায়েল বলেন, ‘তখন তো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ পাইনি। আর রাজনীতির মাঠে নেমে মানুষের জন্য কাজ করতে হলে, যে দলের হয়ে কাজ করছি, তাদের একটা সমর্থন থাকা উচিত। এই সমর্থনটা আমি তখন সেভাবে পাইনি। তা ছাড়া রাজনীতি একটা আলাদা পেশার মতো। আর অভিনয় ছেড়ে রাজনীতি করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

টালিউড সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে রাজনীতি প্রবেশ করেছে অনেক আগেই। সেটাকে হতাশাজনক বলেন মনে করেন না পায়েল। তাঁর কথায়, ‘রাজনীতির প্রবেশ নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। যে পরিবর্তনই হোক না কেন, সেটা যেন ভাল হয়। সেটা যেন কাজের ক্ষেত্রে কোনও বাধা না সৃষ্টি করে।’

ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ২০ বছর কাটিয়ে ফেছেলেন। একটা সময় ছিল যখন বাংলা ছবির নায়িকারা পর পর ছবিতে কাজ করতেন। নিজের কাজ নিয়ে পায়েল বলেন, “২০০৭ সালে ‘আই লভ ইউ’ ছবিতে প্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করি। তারপর থেকে আমি কাজ করে চলেছি। শিল্পীর কেরিয়ারে চড়াই-উতরাই থাকতেই পারে। আমি কিন্তু কখনও বিরতি নিইনি। এখনো কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমানে ‘বাবু সোনা’ সিনেমা কাজ শেষ। কিছুদিন পর এটা মুক্তি পাবে।”

২০২১ সালে ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) যোগ দিয়েছিলেন পায়েল। সে বছরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বেহালা পূর্ব আসনে লড়ছেন তিনি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরপরই রাজনীতি থেকে দূরে রাখছেন নিজেকে। এখন অভিনয়ে নিয়েই ব্যস্ত তিনি। সূত্র: আনন্দবাজার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প য় ল সরক র র জন ত র ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন বাংলাদেশ গড়তে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আশু করণীয় নিয়ে যাত্রা শুরু করা। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।’

‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়ব এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের মে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ শ্রমিকের পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাংবোর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ