সিরাজগঞ্জে বিএনপির দুই নেতার পদ স্থগিত
Published: 20th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে দলের দুই নেতার সকল পদ স্থগিত ও একজনকে শোকজ করা হয়েছে।
আজ বুধবার রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ স্বাক্ষরিত আলাদা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সাবেক আহ্বায়ক হাবিল উদ্দিন মন্ডল ও তার ছোট ভাই কামারখন্দ উপজেলা শ্রমিক দলের সদস্য মানিক মন্ডলের দলে থাকা সকল পদ স্থগিত এবং ভাগ্নে উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শওকত আলীকে শোকজ করা হয়েছে।
ওই পত্রে বলা হয়, ১৭ ফেব্রুয়ারি বদিউজ্জামান ফেরদৌসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করায় হাবিল উদ্দিন মন্ডল ও মানিক মন্ডল দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন। এজন্য প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলে থাকা তাদের সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগে শওকত আলীকে শোকজ করে আগামী ৩ দিনের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক আহ্বায়ক হাবিল উদ্দিন মন্ডল বলেন, আমি জামতৈল বাজার এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ৩৮ বছর যাবত দলের সাথে জড়িত। যে কারণে আমি জামতৈল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হতে চেয়েছিলাম। বদিউজ্জামান ফেরদৌসের বাড়ি বাজার থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে কর্ণসূতি গ্রামে। সম্প্রতি আমাকে বাদ দিয়ে তিনি নিজে জামতৈল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হয়েছেন এবং জামতৈল বাজারের সরকারি ইজারা নিজে নিয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে তর্কবিতর্ক হওয়ায় সে আমাকে এবং আমার ছোটভাই ও ভাগ্নেকে বহিষ্কারের জন্য জেলা বিএনপির কাছে আবেদন করেছিল। দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বদিউজ্জামান ফেরদৌস বলেন, আমি জামতৈল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি হয়েছি এবং বাজারের সরকারি ইজারাও নিয়েছি। এ নিয়ে ওদের সাথে ঝামেলা হয়নি। কী কারণে ঝামেলা হয়েছে, তা সবাই জানে। আমি নতুন করে আর কিছু বলতে চাই না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ব এনপ জ মত ল ব জ র ব এনপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত হত্যার ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
ফরিদপুরে ইজিবাইকচালক শওকত মোল্লা (২০) হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালত মাকসুদুর রহমান এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লার মেহেদী আবু কাওসার, জনি মোল্লা ও আবু রাসেল শেখ (পলাতক), রবিদাসপল্লির রাজেশ রবিদাস এবং গোয়ালচামট মহল্লার রবিন মোল্লা। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রাজবাড়ীর সদরের মসলিসপুর গ্রামের বাদশা শেখকে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১০ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন বাদে বাকি সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, শওকত মোল্লা শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আয়নাল মোল্লার ছেলে। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বেরিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ১৫ নভেম্বর সকালে শহরের মোল্লাবাড়ি সড়কের পাশের একটি ধানখেতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। ১৬ নভেম্বর অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন শওকতের বাবা আয়নাল মোল্লা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শওকতকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের ইজিবাইক ও তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি চৌধুরী জাহিদ হাসান জানান, বর্তমানে ইজিবাইক হাতিয়ে নেওয়ার জন্য খুনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি সমাজের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে।