সচিবালয়ে প্রবেশে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন নীতিমালায় সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নীতিমালা অনুযায়ী কার্ড রিডার স্ক্যানিং ব্যবহার করে আরও কঠোর ও অত্যাধুনিক হচ্ছে প্রবেশপদ্ধতি।

সম্প্রতি সচিবালয়ে প্রবেশ নীতিমালা ২০২৫ এ এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে সই করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড.

নাসিমুল গনি। নতুন নীতিমালায় যেসব বলা হয়েছে-

১. কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারি সচিবালয়ে প্রবেশের পূর্বে দেহ আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে এবং তাদের সাথে বহনকৃত ব্যাগ/বস্তু ব্যাগেজ স্ক্যানারে মাধ্যমে স্ক্যান করবে


২. কার্ডধারীরা গেইটে প্রবেশের সময় কেবলমাত্র কার্ড রিডার স্ক্যানিং ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট গেইটের মাধ্যমে প্রবেশ করবেন।

৩. কার্ডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারি/ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার পূর্বে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে কার্ড স্ক্যানপূর্বক প্রবেশ করবেন। 

৪. সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারি/ব্যক্তিরা প্রাপ্ত কিউআর কোডটি সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে গেইটে স্থাপিত কিউআর কোড রিডারের মাধ্যমে স্ক্যান করলে মনিটরে প্রদর্শিত ছবি ও তথ্যাদি মিল সাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি প্রাপ্ত হবেন।

৫. কিউআর কোডধারী কর্মকর্তা/কর্মচারী/ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করার পূর্বে ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যানপূর্বক প্রবেশ করবেন।

৬. প্রযুক্তিগত পরিবর্তন সাপেক্ষে উপযুক্ত অন্য কোন পদ্ধতি প্রবেশ ও বহির্গমনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

৭. দর্শনার্থী যে মন্ত্রণালয়/বিভাগে প্রবেশের অনুমতি পাবেন তিনি শুধুমাত্র সেখানেই যেতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সচিবালয় ত্যাগ করবেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের অবস্থান ও বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

৮. স্ক্যানার, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর, সিসিটিভি, আন্ডার ভেহিক্যাল সার্ভিল্যান্স সিস্টেম, ভেপার ডিটেক্টর/ডগ স্কোয়াড ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যক্তি/বস্তু/যানবাহন প্রশিক্ষিত নিরাপত্তাকর্মী দ্বারা তল্লাশি নিশ্চিতকরণ।

৯. স্টিকার সম্বলিত/অনুমোদিত যানবাহন কারিগরী যন্ত্রপাতির সাহায্যে তল্লাশিপূর্বক প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ করা।

১০. নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ যে কোনো প্রকারের অস্ত্র/আগ্নেয়াস্ত্র/ব্যক্তিগত লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র/বিস্ফোরক দ্রব্যসহ কোনো ব্যক্তি সচিবালয়ের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবে না। আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ তাদের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রবেশ গেইটে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা স্থাপনের পর গেইটে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখতে পারবেন। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত জনবলের জন্য ইস্যুকৃত সরকারি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

স্থায়ী প্রবেশ পাস
যেসব ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন-

১. সচিবালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তরসমূহের নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারি।

২. সচিবালয়ের বাইরে কর্মরত সরকারের উপসচিব ও তদুর্ধ্ব কর্মকর্তা।

৩. অবসরপ্রাপ্ত সচিব।

৪. মন্ত্রী/উপদেষ্টা/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী/সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের সাথে কর্মরত একান্ত সচিব ও সহকারী একান্ত সচিব।

৫. সচিবালয়ের অভ্যন্তরে পদায়নকৃত কেন্দ্রীয় পরিবহন পুলের গাড়ি চালক।

অস্থায়ী প্রবেশ পাস
যেসব ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গ অস্থায়ী প্রবেশ পাসের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন-

১. বাংলাদেশ সচিবালয়ের অভ্যন্তরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগে সংযুক্ত।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য মন ত র করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ