Risingbd:
2025-05-01@14:08:34 GMT

সব পথ এসে মিশে গেছে শহীদ মিনারে

Published: 21st, February 2025 GMT

সব পথ এসে মিশে গেছে শহীদ মিনারে

আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালির আত্মপরিচয় গড়ার দিন। মাতৃভাষার জন্য জীবন দেওয়ার বিরল কৃতিত্ব গড়ার ৭৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। 

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর পেটোয়া বাহিনী। শহীদ হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউর প্রমুখ। এর পর থেকেই ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় শহীদ দিবস। পরে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি পায়। এখন বাংলাদেশসহ ১৯৪টি দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হচ্ছে।

ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আসে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। 
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো.

সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব, তিন বাহিনীর প্রধান, কূটনীতিকগণ শহীদ মিনারের মূল বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর শহীদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। রাজনৈতিক দল, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। 

শুক্রবার ভোর থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামে। শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা মানুষের সারি শহীদ বেদি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। আজ ফাগুন হাওয়া ও তপ্ত রোদে নগরীর সব পথ যেন মিশে গেছে শহীদ মিনারে।

সবাই ফুল নিয়ে আসেন শ্রদ্ধা জানাতে। কেউ নিয়ে এসেছেন ফুলের ডালা, কেউবা এনেছেন একগুচ্ছ কিংবা একটি ফুল। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডে ছেয়ে গেছে পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদ মিনারে মানুষের ভিড় বাড়ছেই। কারও হাতে হয়ত কিছুই নেই, তবু খালি পায়ে শহীদ মিনারে গিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করছেন ভাষাসংগ্রামীদের সে রক্তাক্ত ইতিহাসকে। 

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাইকে অনবরত বেজেই চলেছে  কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’। শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবার মনে এ গানের সুরের অনুরণন তৈরি হচ্ছিল। বেলা গড়ানোর পরও মানুষের স্রোত একটু কমেনি, বিকেল পর্যন্ত এ জনসমাগম থাকবে। তারপর শহীদ মিনারের অনতিদূরে চলা অমর একুশে গ্রন্থমেলায় শ্রদ্ধা জানাতে আসা জনতার ঢেউ ধাবিত হবে। আজ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাই থাকবে জনতার পদভারে মুখরিত।

বিপুল এ জনস্রোতে যেন নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা না তৈরি হয়, সেজন্য কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে পুলিশ, র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।  

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।

সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।

তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।

এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ  রিকোভারীবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ