শেষ ষোলোতেই ‘মাদ্রিদ ডার্বি’, লিভারপুলের সামনে পিএসজি
Published: 21st, February 2025 GMT
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয় হতে যাচ্ছে দুটি ‘মাদ্রিদ ডার্বি’। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদ। শীর্ষে থেকে প্রথম পর্ব শেষ করা লিভারপুলের বিপক্ষে খেলবে ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
সুইজারল্যান্ডের নিওনে হাউস অব ইউরোপিয়ান ফুটবলে কিছুক্ষণ আগে চ্যাম্পিয়নস লিগ ২০২৪-২৫ মৌসুমের শেষ ষোলো পর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক পেদ্রো পিন্তো, ড্র পরিচালনা করেন উয়েফার উপ-মহাসচিব জর্জিও মারকেত্তি। কোন দল কার মুখোমুখি হবে, তা ঘোষণা করতে আমন্ত্রণ জানানো হয় ২০০০-০১ মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে এই শিরোপা জেতা ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার জিওভানি এলবারকে।
শেষ ষোলোয় বার্সেলোনা প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বেনফিকাকে। পর্তুগিজ ক্লাবটির বিপক্ষে প্রথম পর্বেও খেলেছে বার্সা। মহানাটকীয় সেই ম্যাচে ৫-৪ ব্যবধানে জেতে হান্সি ফ্লিকের দল। জার্মানির সফলতম ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ খেলবে স্বদেশি ক্লাব ও বুন্দেসলিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার লেভারকুসেনের বিপক্ষে।
ইংল্যান্ডের দুই ক্লাব আর্সেনাল ও অ্যাস্টন ভিলার সামনে যথাক্রমে এবারের মৌসুমের দুই চমক পিএসভি আইন্দহফেন ও ক্লাব ব্রুগা। শেষ ষোলোয় ইতালির একমাত্র প্রতিনিধি ইন্টার মিলান খেলবে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব ফেইনুর্ডের বিপক্ষে। আর গত মৌসুমের রানার্স আপ বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে লিল।
শেষ ষোলোর প্রথম লেগ হবে ৪ ও ৫ মার্চ, ফিরতি লেগ ১১ ও ১২ মার্চ।
চ্যাম্পিয়নস লিগের এই মৌসুমে আর কোনো ড্র হবে না। শেষ ষোলো পর্ব শেষে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল হয়ে কে কোন পথে ফাইনালে যাবে, সেটিও নির্ধারিত হয়ে গেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে রহস্যময় মেঘের সন্ধান, অনুসন্ধানে নাসা
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে মেঘের মতো অদ্ভুত কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরে থাকা উচ্চ উচ্চতার এই মেঘের মতো কাঠামোর তথ্য জানতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক–ই লেয়ার স্তরের রহস্য জানার চেষ্টা চলছে। স্পোরাডিক-ই ইলেক্ট্রোডাইনামিকস বা সিড নামের এই মিশনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের মধ্যে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের কোয়াজালিন অ্যাটল থেকে বৈজ্ঞানিক যন্ত্র বহনকারী সাবঅরবিটাল মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা আয়নোস্ফিয়ারের নিচের অংশে তৈরি স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছেন। এই কাঠামোর কারণে আয়নোস্ফিয়ারের উচ্চ স্তরে পৌঁছানোর আগে রেডিও সংকেত পৃথিবীতে প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে এলোমেলো সংকেত গ্রহণ করছে রেডিও রিসিভার।
নাসার তথ্যমতে, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর ক্রমাগত তৈরি হচ্ছে। এই স্তর চলমান ও এই অঞ্চলের কারণে বিভিন্ন ব্যাঘাত অনুমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। নাসার মিশন কর্মকর্তা আরোহ বরজাতিয়া বলেন, স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর খালি চোখে দেখা যায় না। শুধু রাডারের মাধ্যমে প্যাঁচানো ও ফোলা মেঘের মতো দেখা যায়। আবার কিছু স্তর মেঘলা আকাশের মতো ছড়িয়ে পড়ে, যাকে আমরা কম্বলটিং স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর বলি। এই স্তর যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করে।
আয়নোস্ফিয়ার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর। এটি প্রায় ৬০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এই এলাকা চার্জযুক্ত কণা বা আয়ন দ্বারা গঠিত। এই আয়নের মধ্যে কিছু আসে উল্কা থেকে। আয়নিত লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের চিহ্ন আছে এই স্তরে। এসব ভারী ধাতু আয়নোস্ফিয়ারের সাধারণ কণার তুলনায় বেশি থাকে। মাঝে মাঝে এসব কণা একসঙ্গে জমাট বেঁধে ঘন গুচ্ছ তৈরি করে, যা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর মধ্য অক্ষাংশের স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর তৈরির কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেন। তবে পৃথিবীর বিষুবরেখার কাছাকাছি থাকা স্পোরাডিক-ই লেয়ার স্তর সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সূত্র: এনডিটিভি