অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলে কে কে নেই? সবগুলো নাম মনে করা বেশ কঠিনই। চোটের কারণে প্যাট কামিন্স, জশ হ্যাজলউড, মিচেল মার্শ নেই। ব্যক্তিগত কারণে থাকছেন না মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টয়নিস নিয়েছেন আকস্মিক অবসর।

ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে যে দলটা গেছে, সেটাকে অস্ট্রেলিয়ার মূল দল না বলে দ্বিতীয় সারির দল বলাই ভালো। সেই অস্ট্রেলিয়ার আজ প্রথম ম্যাচ লাহোরে, প্রতিপক্ষ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড। তবে মরা হাতিও যেমন লাখ টাকা, ভাঙাচোরা দল হয়ে গিয়েও আইসিসি টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া তেমনই। সব সময় শিরোপার বড় দাবিদার। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ইংল্যান্ড অধিনায়ক জশ বাটলারও সেটাই যেন মনে করিয়ে দিলেন সবাইকে, নিজের দলকেও হয়তো, ‘আইসিসি টুর্নামেন্টে তো অস্ট্রেলিয়া সব সময় ভালো পারফর্ম করে। আমরা কঠিন একটা চ্যালেঞ্জই প্রত্যাশা করছি।’

শন অ্যাবটের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিংয়ে এবার প্রায় সবাই নতুন। কিন্তু এটাকেও খুব বড় সুবিধা মনে করছেন না বাটলার, ‘তাদের (নিয়মিত পেসারদের বদলে যারা এসেছে) খুব ভালো সামর্থ্য আছে ওই ঘাটতি পূরণের।’

কামিন্স না থাকায় শেষ মুহূর্তে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পড়েছে স্মিথের কাঁধে। তিনি অবশ্য খর্বশক্তির দল নিয়েও বেশ নির্ভার, ‘আপনি যখন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলবেন, চাপ থাকবেই। আমাদের যা নেই, তা নিয়ে ভাবছি না। অনেকেই তাদের প্রথম বড় টুর্নামেন্ট খেলবে। তারা ভালো কিছু করতে চায়। আমাদেরও আস্থা আছে ওদের ওপর।’

অস্ট্রেলিয়া অর্ধশক্তির দল হয়ে গেছে, তবে ইংল্যান্ডও আসলে খুব সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। কয়েক দিন আগেই ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে তারা, এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজটা হেরেছিল ৪-১ ব্যবধানে। তবে সেসব ভুলে গিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা নতুনভাবেই শুরু করতে চান বাটলার, ‘আমাদের দলে অনেকেই আছে, যারা আগে পাকিস্তানে খেলেছে। আমার মনে হয়, এই অভিজ্ঞতাটা বেশ কাজে দেবে।’

এমনিতে ওয়ানডেতে মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে। ১৬১ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৯১টি, ইংল্যান্ড ৬৫টি। দুটি টাই ও ফল হয়নি তিনটি ম্যাচের। তবে আজ কঠিন এক লড়াই হবে বলেই মনে করেন বাটলার, ‘ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো সব সময় থাকে, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচও হয়। আর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির যে ফরম্যাট, প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রায় একই সুর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথের কণ্ঠেও, ‘সাদা বলে ইংল্যান্ড কয়েক বছর ধরে দুর্দান্ত খেলেছে। আশা করি কাল (আজ) একটা ভালো ম্যাচ হবে।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ