ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে পাকিস্তানের প্রেরণা ২০১৭
Published: 22nd, February 2025 GMT
ভারত ও পাকিস্তানের মুখোমুখি লড়াই মানেই ক্রিকেট বিশ্ব ভাগ হয়ে যায় দুই ভাগে। মানে-গুণে এখন আর আগের অবস্থানে না থাকলেও এই ম্যাচ ঘিরে সমর্থক বা আয়োজকদের রোমাঞ্চ এখনও কমেনি। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এই দুই দল। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য এই মহারণের দিকেই তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। তবে দেশ দুটির রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানে গিয়ে খেলতে রাজি নয় ভারত। তাই হাইব্রিড মডেলে রোহিত-কোহলিরা তাদের সব ম্যাচ খেলবে দুবাইয়ে। এমনকি টিম ইন্ডিয়া যদি ফাইনালে উঠে তাহলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালও অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে; অন্যথায় ফানালের ভ্যেনু পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম।
এদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম ম্যাচেই নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬০ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিক পাকিস্তান। তাই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে মহারণটা মোহাম্মদ রিজওয়ানের দলের জন্য অলিখিত ফাইনালও বলা চলে। এই মহারণে হারলে যে আসর থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে পাকিস্তানের। ম্যাচের দুদিন আগেই দুবাইয়ে পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
আরো পড়ুন:
৫০ মিনিটেই শেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিট
অন্যদিকে বরাবরের মতো এবারও আইসিসির কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত। প্রথম ম্যাচের আগে দুবাই স্টেডিয়ামের মূল উইকেটেই অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছে ভারত দল। এই ব্যাপার নিয়ে চারদিকে চলছে সমালোচনা। রবিবারের মহারণের আগে আয়োজক পাকিস্তান সেই সুযোগ পায় কিনা সেটাই এখন দেখার ব্যাপার।
পাকিস্তান যে এই ম্যাচে তাদের বিধ্বংসী ওপেনার ফখর জামানকে পাচ্ছে না সেটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম ম্যাচেই। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ফিল্ডিং করার সময় চোট পেয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে যায় এই ৩৪ বছর বয়সী ওপেনারের। সেই জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন আরেক প্রসিদ্ধ ওপেনার ইমাম উল হক। এই বাঁহাতি ওপেনারের প্রায় ৫০ গড়ে ব্যাটিং শাপেবর হয়ে আসতে পারে পাক শিবিরে।
ক্রিকেটের অন্যতম উত্তপ্ত এই প্রতিদ্বন্দ্বীতায়, ভারত এবং পাকিস্তান ১৩৫ বার একে অপরের মোকাবিলা করেছে। যেখানে পাকিস্তানের ৭৩টি জয়ের বিপরীতে ভারতের জয় ৫৭টি। অন্যদিকে পাঁচটি ম্যাচ ছিল ফলাফল শূন্য। তবে শেষ ৮টি ম্যাচের মধ্যে ৭টি জেতা ভারতই আগামীকালের লড়াইয়ে ফেবারিট।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তানের পাঁচ বার মুখোমুখি হয়েছিল। এখানেও পাকিস্তান ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। তবে, দুবাইয়ে এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর দুবারের দেখায় শতভাগ জয় ভারতের।
পাকিস্তান সবশেষ ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে, যা আগামীকালের ম্যাচের আগে শক্তি সঞ্চার করবে রিজওয়ানের দলে। এই ম্যাচ জিতলে শেষ চার নিশ্চিত হবে ভারতের। অন্যদিকে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে চাইলে স্বাগতিক পাকিস্তানের এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এই ম য চ ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষ, আদেশ ৬ আগস্ট
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর আদেশের জন্য আগামী ৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ আজ বুধবার শুনানি শেষে আদেশের এই তারিখ ধার্য করেন।
গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনটি শুনানির জন্য ১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারীপক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার শুনানি হয়।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়; পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারীপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন। এ ছাড়া ইন্টারভেনার (ব্যাখ্যাকারী) হিসেবে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর আজ শুনানি শেষ হলো।