ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ এখন আর ক্রিকেটের সেরা ব্যাটেল গুলোর একটি না। তবে এরপরও এই ম্যাচ ঘুরেই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় ক্রিকেট বিশ্ব। বাণিজ্যিক দিক তো বটেই, উত্তাপ, আবেগ ও রোমাঞ্চ বিবেচনায় এখনও ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ‘ক্রিকেট ক্লাসিকোর’ মর্যাদা পায়। আজ দুপুর ৩টায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার আগে দুই দল দাঁড়িয়ে দুই মেরুতে।

ভারতের ‘ঘোপে না টিকা’ নিরাপত্তার সংশয়ের কারণে তারা স্বাগতিক পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি ছিল না। তাই হাইব্রিড মডেলে রোহিত শর্মাদের ম্যাচ গুলো অনুষ্ঠিত হবে দুবাইয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হেসে-খেলে জিতে শেষ চারের পথে অনেকটাই এগিয়ে টিম ব্লুজ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে জিতলেই সেমি ফাইনাল এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে ভারতের।

অন্যদিকে ১৯ দিনের আইসিসি ট্রফির এবারের আয়োজক পাকিস্তানের বিদায় ঘন্টা বেজে যেতে পারে মাত্র ৫ দিনেই। ভারতের বিপক্ষে হারলেই আসর থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে মোহাম্মদ রিজওয়ানদের।

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের কোনো উত্তাপ টের পাচ্ছে না ভারত!

ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে পাকিস্তানের প্রেরণা ২০১৭

এই মহারণের আগে দেখে নেয়া যাক কোন দল কোথায় এগিয়ে:

ভারতের ওপেনিং জুটি এগিয়ে আছে এই ম্যাচে। রোহিত, শুভমান গিল কেবল পাকিস্তানের তুলনায় না, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের যে কোন দলের চেয়ে এগিয়ে।

মিডল অর্ডারের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি। একদিকে শ্রেয়াস আইয়ার, অক্ষর প্যাটেল, লোকেশ রাহুল। অন্যদিকে রিজওয়ান, আগা সালমানই শেষ কিছুদিন যাবত টানছে পাকিস্তানকে। এই জায়গাতাতে নিঃসন্দেহে পাকিস্তান এগিয়ে থাকবে।

অলরাউন্ডারের দিকে তাকালে বর্তমান ভারত দল ক্রিকেট বিশ্বের বাকি দলগুলোর তুলনায় বেশ এগিয়ে। বিশেষ করে উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর, রবীন্দ্র জাদেজা এবং ওয়াশিন্টন সুন্দরদের নিয়ে গড়া টিম ব্লুজদের অলরাউন্ডাররা ব্যাটে-বলে বেশ এগিয়ে।

মোহাম্মদ শামি, হার্ষিত রানা এবং বাকি অলরাউন্ডারদের কল্যাণে বোলিংয়েও বেশি এগিয়ে ভারত। শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ এবং হারিস রাউফদের নিয়ে গড়া পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে খাট করার সুযোগ নেই। তবে ম্যাচ পরিস্থিতি অনুমান, শৃঙ্খলা এবং ফিটনেস বিবেচনায় ভারতীয়রাই বেশি কার্যকরী।

সবশেষ ম্যাচ অ্যাওয়ারনেস বা পরিস্থিতি পর্যালোচনার দিকে নজর দিলেও নিঃসন্দেহে এগিয়ে থাকবে রোহিত-কোহলিরা।

এভাবে বেশির ভাগ বিভাগেই পিছিয়ে থেকে আজকের মহারণে নিজেদের অস্বস্তি রক্ষার মিশনে নামছে পাকিস্তান। তবে টিম গ্রীন একটা জায়গায় এগিয়ে। তারা যে বড্ড অঅনুমেয়। দেয়ালে পিঠ ঠেকলেই সেরাটা বের হয়ে আসে পাকিস্তানের। আজ কি আরও একবার তেমনটাই দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব? জানতে চোখ রাখুন টিভি স্ক্রিনে।             

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ