সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কাটাগাং এরাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঘটনাস্থলে দুজন আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অপর এক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। 

নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবিরহাওড় গ্রামের মৃত আলি আহমদের ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৪) ও আগফৌদ পাঁচসেউতি গ্রামের হাসান আলির ছেলে মো. তোফায়েল (২৬)। আহত ব্যক্তি হলেন, উপজেলার বিড়াখাই এলাকার জালাল আহমেদের ছেলে সাব্বির আহমেদ (৩২)। 

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় তিনজন আরোহী একটি মোটরসাইকেলে করে জৈন্তাপুর সদরে যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত সাব্বিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

তামাবিল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কাটাগাং নামক স্থানে পৌঁছালে মালবাহী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এসময় মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিয়ে ট্রাকটি দ্রুত পালিয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে তামাবিল হাইওয়ে থানা পুলিশের টিম স্থানীয়দের সহায়তায় মৃতদেহ ও আহতকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

তিনি বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে। ঘাতক ট্রাকটি আটকের জন্য অনুসন্ধান চলছে।”

ঢাকা/নূর/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ