চকরিয়ায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নারী নিহত, আহত ৫
Published: 24th, February 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকায় একটি ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত পাঁচজন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারী বাসের যাত্রী ছিলেন। তাঁর পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। আহত পাঁচজনকে চকরিয়া, পার্শ্ববর্তী উপজেলা লোহাগাড়া এবং চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, কক্সবাজারমুখী ট্রাকটি পাথরবোঝাই ছিল। উত্তর হারবাং এলাকায় ওই ট্রাকের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা হানিফ পরিবহনের বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বাসের ওই নারী যাত্রী। আহত হন আরও পাঁচজন। দুর্ঘটনার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা যানজটে আটকা পড়তে হয় শতাধিক যানবাহনকে।
চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক আরিফুল আমিন দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। নিহত নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। লাশ হাইওয়ে থানায় রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল