আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘এ’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে এটি হবে দুই দলের তৃতীয় দেখা, যেখানে আগের দুটি লড়াইয়ে দুদলই একটি করে জয় পেয়েছে।

২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। কলম্বোতে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল কিউইরা। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪৪ রান সংগ্রহ করে। জবাবে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ, যেখানে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২০ রান করেছিলেন তুষার ইমরান।

এরপর ২০১৭ সালে কার্ডিফে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয় দুই দল। সেবার দুর্দান্ত এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ, যা দলকে নিয়ে যায় সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান সংগ্রহ করে। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। তবে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য ২০৯ বলে ২২৪ রানের জুটিতে ৫ উইকেটের দারুণ জয় পায় টাইগাররা। সাকিব ১১৫ বলে ১১৪ ও মাহমুদউল্লাহ ১০৭ বলে ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ঐতিহাসিক সেই জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের সেমিফাইনালে উঠে, যদিও সেখানে ভারতের কাছে ৯ উইকেটে হেরে যায়।

ওয়ানডে ফরম্যাটের সামগ্রিক পরিসংখ্যানে নিউজিল্যান্ড বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে। এখন পর্যন্ত দুই দলের ৪৫ দেখায় কিউইরা জিতেছে ৩৩ ম্যাচে, আর বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১১টিতে। এক ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।

আজকের ম্যাচে কে এগিয়ে থাকবে, তা সময়ই বলে দেবে, তবে অতীতের হিসাব-নিকাশ অনুযায়ী দুদলই আত্মবিশ্বাসী থেকে মাঠে নামবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব

সময়ের চেয়েও বেশি দীর্ঘ হলো অপেক্ষা। উত্তেজনার বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে ছিল ফুটবলীয় রোমাঞ্চ। শেষ ১৫ মিনিট যেন পরিণত হলো রূপকথার উপসংহারে—যেখানে আবাহনীর স্বপ্ন থেমে যায়, আর বসুন্ধরা কিংস খুঁজে পায় চতুর্থ ফেডারেশন কাপের সোনালি মুহূর্ত।

বৃষ্টির ছন্দে বিভ্রান্ত হওয়া ফাইনাল আবার শুরু হলো এক সপ্তাহ পর। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচের বাকি অংশ গড়ালো ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে। যেখানে শুরু থেকেই ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে নামে কিংস। অতিরিক্ত সময়ে কিছুই হল না। তবে অপেক্ষার পুরস্কার মিলল টাইব্রেকারে।

সেখানে বাজিমাত করলেন কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ। আবাহনীর দ্বিতীয় শট আটকে দিয়ে দলকে দিলেন এগিয়ে যাওয়ার আত্মবিশ্বাস। আর শেষ শটটি নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল, যা গোললাইন পার হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উৎসবে ফেটে পড়ে কিংস শিবির।

আরো পড়ুন:

যে কারণে এবারের লিগ জয়কে এগিয়ে রাখছেন সালাহ

পাঁচ গোলের রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ হাসি বার্সার

কিছুদিন আগেই আবাহনীর কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল কিংস। এবার সেই হারের উত্তরটা যেন মিলল একই মঞ্চে, একই কৌশলে— তবে ভিন্ন ফলাফলে। মোরসালিন, তপু, ইনসান, জোনাথন আর ড্যাসিয়েল— কেউই ভুল করেননি। আবাহনীর একমাত্র ব্যর্থ শটটি ছিল নাইজেরিয়ান এমেকার, যা ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। আর মিরাজুলের চতুর্থ শট, যা প্রথমবার ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন শ্রাবণ। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্তে আবার নিতে হয়। তাতেও গোল হলেও ততক্ষণে কিংস হয়ে গেছে অপ্রতিরোধ্য।

এদিন মাত্র ১৫ মিনিট খেলা হলেও মাঠের উত্তাপ ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য নাটকের মতো। শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখেন আবাহনীর সুমন রেজা ও অধিনায়ক হৃদয়। আগের ম্যাচেও হলুদ-লাল কার্ডে ভরা ছিল দৃশ্যপট। ফুটবল এখানে শুধু কৌশলের খেলা নয় তা যেন হয়ে ওঠে মানসিক স্থিতির পরীক্ষাও।

এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস চতুর্থবারের মতো ফেডারেশন কাপ জয় করল। একই সঙ্গে আবাহনীকে প্রথমবার কোনো ফাইনালে হারানোর কৃতিত্বও অর্জন করল তারা। অতীতে দুই ফাইনালে পরাজিত হয়েছিল কিংস। এবার তারা সেই রেকর্ড মুছে দিল নির্ভার ফুটবলে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লর্ডসে ফাইনাল, ভেন্যু ও সময় ঘোষণা করল আইসিসি
  • পাকিস্তানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদেও আইএসআই প্রধান মালিক
  • মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
  • পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআই প্রধান
  • দেশ গড়ার নায়কদের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টের বিশেষ উদ্যোগ
  • প্রথমবারের মতো দেশে সংযোজিত এসইউভি গাড়ি আনল প্রোটন
  • এক সপ্তাহে এভারেস্ট জয় কি সত্যিই সম্ভব
  • সম্পর্কের ৫০ বছর: বাংলাদেশে প্রথমবার চীনা ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী
  • জমজমাট নাটকের পর কিংসের শিরোপা উৎসব
  • বন্ধু রাশিয়াকে সাহায্য করতে সেনা পাঠায় উত্তর কোরিয়া