পর্যাপ্ত পানি পান করার পরে ত্বক শুষ্ক হয় কেন?
Published: 25th, February 2025 GMT
ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হয়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় পর্যাপ্ত পানি পান করার পরেও ত্বক শুকিয়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে ভিটামিন ই-র অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কীভাবে বুঝবেন ত্বকে ভিটামিন ই-এর অভাব রয়েছে।
ত্বকের আর্দ্রতা: ভিটামিন ই ত্বকের ময়েশ্চার ব্যারিয়ার ধরে রাখতে সহায়তা দেয়। তাই পরিমাণমতো পানি পান করার পরেও যদি ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যেতে পারে শরীরে ভিটামিন ই-র অভাব হচ্ছে।
অ্যান্টি-এজিং উপাদান: চিকিৎসকেরা বলেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন উৎপাদনের পরিমাণ কমে যেতে থাকে।চামড়া ঝুলে যাওয়া, বলিরেখা পড়া, জেল্লা কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর খাবার, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং দূষিত পরিবেশে বসবাসের কারণে অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এ ছাড়া রক্তে ভিটামিন ই-র অভাব থাকলে কোলাজেন তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:
চাকরিজীবী নারীরা ব্যাগে যা যা রাখতে পারেন
‘শয়তানের নিশ্বাস’ বা ‘ডেভিলস ব্রেথ’ কতটা ভয়াবহ
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ কমে যাওয়া: শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বিঘ্নিত হলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বেড়ে যায়। এতে ত্বক নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। এই ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান থাকা জরুরি। ভিটামিন ই আসলে শক্তিশালী এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যার অভাবে ত্বকের জেল্লা হারিয়ে যেতে পারে।
খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই-র ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব: পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ভিটামিন ই কমবেশি অনেক খাবারেই রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি ভিটামিন ই পাওয়া যেতে পারে কাঠবাদাম এবং সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে।
ডায়েটে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার যোগ করে ত্বকের শুষ্কতা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল