১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) সহকারী জজ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় থাকা ১০২ জনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ৪০তম ব্যাচ থেকে ১২ জনসহ আইন অনুষদের ২৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শতকরা হিসাবে তালিকার ২৭.৪৫ শতাংশ রাবির।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইন বিভাগের ২৪ জন এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের চারজনসহ মোট ২৮ জনের নাম নিশ্চিত করেছেন রাবির আইন বিভাগের সভাপতি ড.

সাইদা আঞ্জু। তবে এ সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তালিকায় থাকা রাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, শাহজাহান আলী মিলন (৫ম), ফাইকা তাহজীবা (৭ম), অনিক আহমেদ (৪৯তম), মেহেদী শান্ত (৬০তম), সানজিদা আক্তার  সুমা (১৩তম), ফায়েজা ফারহানা (৪৫তম), সুবাস চন্দ্র পাল (১২তম), রাকিবুল হাসান আনন্দ (২১তম), সাদিয়া নুসরাত (৮৭তম), মাহমুদুল হাসান মুন্না (৫৩তম), আবু ইউসুফ ফয়সাল (৩৯তম), তাসনিম রেজওয়ানা হক খান (২২তম), এমএ রায়হান সুপ্ত (২৭তম), এলিনা রশীদ (৮৬তম), খাদিজাতুল কুবরা শান্ত (৯৯তম), মো. সাব্বির আলম সাজু (৩৬তম), জাহিদ হাসান (২৪তম)।

এছাড়াও সোহেল রানা, গগন পাল, ওমর ফারুক, ফারহানা সুলতানা, হামিদা মাসুম লিয়া, ফারহানা বিনতে ইসলাম তালিকায় থাকলেও তাদের পজিশন জানা যায়নি। বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগ থেকে চারজন শিক্ষার্থী সহকারী জজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা হলেন, রুইমুল ইসলাম (২৬ তম), তানসেনা হোসেন মনীষা (২৫ তম), কাজী মোহাম্মদ নোমান (৩১তম) ইয়াসমিন আরা মুক্তা (৬৫ তম)।

বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ. এম. রেজা জাকের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত ফলাফলে জানা যায়, মোট ১০২ জনের রোল নম্বর উল্লেখ করে সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মনোনীতদের ফল প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, মেধা তালিকায় থাকা ১০০তম, ১০১তম ও ১০২তম পরীক্ষার্থীরা একই নম্বর পাওয়ায় ১০০ জন চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও দুইজন মিলিয়ে মোট ১০২ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।

বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে রাকিবুল হাসান আনন্দ বলেন, আমার সফলতার জন্য আল্লাহ তায়া’লার নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমার ব্যাচ থেকে ১৫শ, ১৬শ এবং ১৭শ বিজেএস নিয়ে মোট ২৫জন সহকারী জজ হয়েছেন। যা আমাদের ব্যাচের বিশাল এক সফলতা। এছাড়াও ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যহত থাকবে বলে আমাদের আশা। আমরা সবাই দোয়াপ্রার্থী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদা আঞ্জু বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের বিভাগ থেকে ২৪ জন এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের চারজনসহ মোট ২৮ জন শিক্ষার্থী বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ সংখ্যাটি আরও বাড়বে।”

সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা আমাদের গর্ব। তাদের এ অর্জনে আইন বিভাগ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। তাদের হাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন ব ভ গ র আম দ র র আইন সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

নিজেদের সফলতার গল্প শোনালেন তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তরুণদের অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শিখে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছেন। ফ্রিল্যান্স কাজের সঙ্গে যুক্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরতে গতকাল রোববার ‘ফ্রিল্যান্সিং ফ্যাক্টরি’ নামের একটি বিশেষ সেশনের আয়োজন করেছিল গ্রামীণফোন একাডেমি। রাজধানীর বসুন্ধরায় গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউস’-এ অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিভিন্ন জেলার শতাধিক তরুণ ফ্রিল্যান্সার নিজেদের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘তরুণেরা ফ্রিল্যান্স কাজের মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করছেন। উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন ফ্রিল্যান্সাররা। গ্রামীণফোন একাডেমির মাধ্যমে আমরা এই তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছি এবং তাঁদের বৈশ্বিক সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।

আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সারদের জন্য নতুন সুবিধা চালু করল ফাইভার২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

অনুষ্ঠানে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ ক্লায়েন্টদের সঙ্গে সফলভাবে যোগাযোগের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা ও আয় বাড়ানোর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিলা আক্তার বলেন, ‘আমি পড়ালেখার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করেছি। এরপর ফ্রিল্যান্সিং করার অর্থ দিয়ে ল্যাপটপ কিনেছি।’

আরও পড়ুনশাশুড়ির কিনে দেওয়া ল্যাপটপে ফ্রিল্যান্সিং, পপির মাসিক আয় ৩ লাখ টাকা২৯ নভেম্বর ২০২৪

গ্রামীণফোন একাডেমি জানিয়েছে, এ ধরনের অনুষ্ঠানের নিয়মিত আয়োজন করা হবে, যাতে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের তরুণেরা অনলাইন কাজের মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারেন। গ্রামীণফোন একাডেমি থেকে ফ্রিল্যান্সিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে–কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগও পাওয়া যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিজেদের সফলতার গল্প শোনালেন তরুণ ফ্রিল্যান্সাররা