১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের এক-চতুর্থাংশের বেশি রাবির
Published: 25th, February 2025 GMT
১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) সহকারী জজ পরীক্ষার মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকায় থাকা ১০২ জনের মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের ৪০তম ব্যাচ থেকে ১২ জনসহ আইন অনুষদের ২৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। শতকরা হিসাবে তালিকার ২৭.৪৫ শতাংশ রাবির।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইন বিভাগের ২৪ জন এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের চারজনসহ মোট ২৮ জনের নাম নিশ্চিত করেছেন রাবির আইন বিভাগের সভাপতি ড.
তালিকায় থাকা রাবির আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা হলেন, শাহজাহান আলী মিলন (৫ম), ফাইকা তাহজীবা (৭ম), অনিক আহমেদ (৪৯তম), মেহেদী শান্ত (৬০তম), সানজিদা আক্তার সুমা (১৩তম), ফায়েজা ফারহানা (৪৫তম), সুবাস চন্দ্র পাল (১২তম), রাকিবুল হাসান আনন্দ (২১তম), সাদিয়া নুসরাত (৮৭তম), মাহমুদুল হাসান মুন্না (৫৩তম), আবু ইউসুফ ফয়সাল (৩৯তম), তাসনিম রেজওয়ানা হক খান (২২তম), এমএ রায়হান সুপ্ত (২৭তম), এলিনা রশীদ (৮৬তম), খাদিজাতুল কুবরা শান্ত (৯৯তম), মো. সাব্বির আলম সাজু (৩৬তম), জাহিদ হাসান (২৪তম)।
এছাড়াও সোহেল রানা, গগন পাল, ওমর ফারুক, ফারহানা সুলতানা, হামিদা মাসুম লিয়া, ফারহানা বিনতে ইসলাম তালিকায় থাকলেও তাদের পজিশন জানা যায়নি। বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগ থেকে চারজন শিক্ষার্থী সহকারী জজ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা হলেন, রুইমুল ইসলাম (২৬ তম), তানসেনা হোসেন মনীষা (২৫ তম), কাজী মোহাম্মদ নোমান (৩১তম) ইয়াসমিন আরা মুক্তা (৬৫ তম)।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন সচিবালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ এ. এম. রেজা জাকের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত ফলাফলে জানা যায়, মোট ১০২ জনের রোল নম্বর উল্লেখ করে সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও মনোনীতদের ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, মেধা তালিকায় থাকা ১০০তম, ১০১তম ও ১০২তম পরীক্ষার্থীরা একই নম্বর পাওয়ায় ১০০ জন চূড়ান্ত মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও দুইজন মিলিয়ে মোট ১০২ জনকে মনোনীত করা হয়েছে।
বিজেএস পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে রাকিবুল হাসান আনন্দ বলেন, আমার সফলতার জন্য আল্লাহ তায়া’লার নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আমার ব্যাচ থেকে ১৫শ, ১৬শ এবং ১৭শ বিজেএস নিয়ে মোট ২৫জন সহকারী জজ হয়েছেন। যা আমাদের ব্যাচের বিশাল এক সফলতা। এছাড়াও ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যহত থাকবে বলে আমাদের আশা। আমরা সবাই দোয়াপ্রার্থী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদা আঞ্জু বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের বিভাগ থেকে ২৪ জন এবং আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের চারজনসহ মোট ২৮ জন শিক্ষার্থী বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ সংখ্যাটি আরও বাড়বে।”
সহকারী জজ হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “যারা উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা আমাদের গর্ব। তাদের এ অর্জনে আইন বিভাগ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বিত। তাদের হাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে বলে প্রত্যাশা করছি।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন ব ভ গ র আম দ র র আইন সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
চুইঝাল চাষে সাফল্য পেয়ে প্রবাসফেরত শাহ আলম বললেন, ‘আর বিদেশে যাব না’
সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সাফল্যের দেখা পেয়েছেন বিদেশফেরত এক ব্যক্তি। জেলায় মসলাজাতীয় ফসল চুইঝালের সফল বাণিজ্যিক চাষ এটিই প্রথম। এই সফলতায় বর্তমানে এলাকার কৃষক, তরুণ ও যুবকেরা চুইঝাল চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই ব্যক্তির নাম শাহ আলম (৪৫)। তিনি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের শুকুর আলীর বড় ছেলে। প্রায় এক যুগ সৌদি আরবে প্রবাসজীবন কাটিয়ে গ্রামে ফিরে ২০২২ সালে সিরাজগঞ্জে চুইঝাল চাষের উদ্যোগ নেন তিনি।
সম্প্রতি এক দুপুরে শাহ আলমের চুইঝালের খেতে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে ফসল উত্তোলন করা হচ্ছে। বেশ কিছু স্থানে সমূলে চুইঝাল গাছগুলো তুলে বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। খুলনাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারেরা গিয়ে এসব চুইঝাল কিনে নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে শাহ আলম বলেন, ‘বিদেশে থাকা অবস্থাতেই ইউটিউবে খুলনা এলাকায় চুইঝাল চাষে কৃষকদের সফলতা দেখে আমার আগ্রহ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে খুলনা এলাকায় চুইঝালের চারা উৎপাদকারী একটি নার্সারির মালিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাকে বেশ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এরপর দেশে ফিরে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি ইউনিটের (কৃষি খাত) আওতায় উচ্চমূল্যের মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রদর্শনী বাস্তবায়নকারী স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) সহায়তায় চুইঝালের চাষ শুরু করি। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট বাড়ির পাশে ৩৩ শতক জমি ৩ বছরের জন্য ৬০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়ে এগুলোর চাষ শুরু করা হয়।’
শাহ আলমের দাবি, চুইঝাল চাষ শুরু থেকে এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকা। অন্যদিকে চলতি বছর দুই ধাপে ৭ লাখ ৩৭ হাজার টাকার চুইঝাল বিক্রি করেছেন।
সিরাজগঞ্জে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝাল চাষ করে সফল হওয়ার দাবি করেছেন প্রবাসফেরত শাহ আলম