শুরু আর শেষে একটা মিল রেখে দিল বাংলাদেশ দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে আসার আগে কোচ ফিল সিমন্সের আক্ষেপ ছিল যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আসতে না পারার। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে পিন্ডির আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার ম্যাচে সিমন্সের ডেপুটি সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনও বললেন সে কথাই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের বাজে পারফরম্যান্সের কারণ যথাযথ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার অভাব।

আজ বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ দল অনুশীলন করতে না পারলেও প্রায় আধা ঘণ্টার সংবাদ সম্মেলনে বলা সালাহউদ্দীনের কথায় ফুটে উঠেছে পুরো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দলের ব্যর্থতার ছবিটাই। চাইলে এ কথাগুলো থেকে বের করে নিতে পারেন ব্যর্থতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টও—

আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ‘মাহমুদউল্লাহকে দেখে মনে হচ্ছে, ছুটি কাটাতে এসেছে’১ ঘণ্টা আগেপরিকল্পনার অভাব, প্রস্তুতিতে ঘাটতি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে বাংলাদেশ দল দেশ ছাড়ে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে, আর ক্রিকেটাররা বিপিএল শেষ করেছেন ৭ ফেব্রুয়ারি। মাঝে দেশে নামমাত্র অনুশীলন হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচ একটাই, সেটাও দুবাইয়ে এসে। এ নিয়ে সালাহউদ্দীনের হতাশা, ‘আমার মনে হয় পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড যে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছে, এটা নিশ্চয়ই এক বছর আগে ঠিক করেছে। বড় টুর্নামেন্টের আগে হোম গ্রাউন্ডে এসে তিনটি ম্যাচ খেলার চেয়ে বড় প্রস্তুতি আর কিছু হতে পারে না।’ সালাহউদ্দীন এর জন্য সরাসরি কাউকে দায়ী না করলেও বলেছেন, ‘যারা ম্যানেজমেন্ট আছে, তাদেরকে এটা নিশ্চিত করতে হবে। বিপিএল যদি ১৫ দিন আগে শেষ করা যেত, তাহলেই হয়তো প্রস্তুতি নেওয়া যেত।’ খেলোয়াড়দের আগলে রেখে তিনি বলেছেন, টুর্নামেন্ট বা সিরিজের আগে যথাযথ প্রস্তুতিটা নিশ্চিত করতে হবে বোর্ড এবং টিম ম্যানেজমেন্টকেই। সঙ্গে খেলোয়াড়দেরও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ‘মানিয়ে নেওয়ার দরকার ছিল। এক ফরম্যাট থেকে আরেক ফরম্যাটে কীভাবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, সেটা শিখতে হবে।’

নিউজিল্যান্ডের কাছে সর্বশেষ ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ল হউদ দ ন ল দ শ দল

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য না করার নির্দেশনা সিলেট জেলা বিএনপির

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য কিংবা তথ্য শেয়ার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি। দলের কেউ এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম।
এদিকে দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার–বহিভূর্ত মন্তব্য করায় গতকাল রাতে বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবেদুর রহমানকে (আছকির) সাময়িক বহিষ্কারের পাশাপাশি সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেছে জেলা বিএনপি। এ ছাড়া অনলাইন গণমাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ার জন্য জেলা বিএনপির সহসভাপতি ফখরুল ইসলামকে (ফারুক) সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা বিএনপির বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট জেলা বিএনপির আওতাধীন কিছু ইউনিটের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কার্যক্রমে অনভিপ্রেত ও পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশেষ করে বিশ্বনাথ উপজেলা, বিশ্বনাথ পৌরসভা ও ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতা-কর্মীর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য, কটূক্তি ও বিভাজন সৃষ্টিকারী পোস্ট প্রচারিত হয়েছে। যা দলীয় শৃঙ্খলা ও ঐক্যের পরিপন্থী।

বিএনপি সব সময় সংগঠনের ঐক্য, শালীনতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের রাজনীতি বিশ্বাস করে উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দলের কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মীর কাছ থেকে বিভেদমূলক আচরণ, বিদ্বেষ ছড়ানো বা প্রকাশ্যে অপপ্রচার কখনোই কাম্য নয়। অতএব জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটের নেতা-কর্মীদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হচ্ছে, যেন ভবিষ্যতে তাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বহীন, অশালীন বা বিদ্বেষপূর্ণ পোস্ট, মন্তব্য বা শেয়ার থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন।

যোগাযোগ করলে জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সম্প্রতি ফেসবুকে কিছু নেতা-কর্মীকে একে অন্যের বিরুদ্ধে বিষোদ্‌গার করতে দেখা গেছে। এ অবস্থায় জেলা বিএনপি একটি নির্দেশনা দিয়েছে। তা অমান্যকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ