সব হারিয়ে শূন্য থেকে শুরু করতে চায় পাকিস্তান
Published: 26th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের কোচ আকিব জাভেদ এসেছিলেন। শুরুর ১২ প্রশ্নে কোথাও ছিল না বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তানের ভরাডুবির কারণ, ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে পেরে উঠতে না পারা, স্বাগতিক হয়েও ছয়দিনের মধ্যে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়, ব্যর্থতার কারণসহ কত-কত প্রশ্ন।
১৩ নম্বর প্রশ্নে যখন পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ম্যাচ প্রসঙ্গ উঠে। খুশি হয়ে যান আকিব জাভেদ। গণমাধ্যমকর্মীকে ধন্যবাদ দিয়ে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তার আছে। কেবল আপনিই এখানে এগিয়ে যেতে চাইছেন।’’
আয়োজক হয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের ঘটনা নতুন নয়। পাকিস্তানও বিদায় নিয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিদ্বন্দ্বতা বাবর, রিজওয়ান, আফ্রিদিরা করতে না পারায় প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। আগামীকালের ম্যাচটি তাদের জন্য মুখ রক্ষার।
আরো পড়ুন:
ব্যাটসম্যানরা ৩০০ করলেই বোলাররা পাকিস্তানকে আটকাতে পারবে
আফগানদের ব্রিটিশ বধ
এজন্য সব ভুলে শূন্য থেকে শুরুর কথা বললেন আকিব জাভেদ, ‘‘ক্রিকেট নিয়ে আলোচনায় দেখবেন, বাইরের যারা আছে তারা কেবল একটি নির্দিষ্ট ম্যাচ নিয়েই চিন্তা করে। কিন্তু খেলোয়াড়দের কথা ভাবুন, তারা ভাবছে মাঠে কি হয়েছে, কিভাবে হলো এবং কোথায় উন্নতি করতে হবে। প্রতিটি ম্যাচ নতুন নতুন চাপ তৈরি করেছে। আপনি যখন ব্যাটিং করবেন তখন কাজটা কিন্তু সহজ হয় না। এজন্য সবাইকে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়। আমরাও সেদিকেই নজর রাখছি। আর এটা চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, বিশ্বকাপ নয়। সেরা আটটা দল খেলে। আগামীকালের ম্যাচটাও আমাদের জন্য সমান গুরুত্বের। আপনি যখন খারাপ অবস্থানে থাকবেন অবশ্যই চাইবেন যেন আপনার সেরা ক্রিকেটাই খেলতে। আমরাও আগামীকাল শক্তিশালী হয়ে খেলতে চাই এবং পরবর্তীতে সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’’
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?