ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ আহত ৫ জন
Published: 27th, February 2025 GMT
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের সাতজন আহত ও দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রায়কালী ইউনিয়নের পাকুরদাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত সাতজনকে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
হামলায় আহতরা হলেন– তিলকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক বিশাল, রায়কালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, তিলকপুরের নগরকুসুম্বি গ্রামের শাকিল আহম্মেদ, চিয়ারীগ্রাম পাকুরডারিয়া গ্রামের রোজিনা, তিলকপুরের ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বেলাল হোসেন, মোহাম্মদপুকুর গ্রামের শাহীন ও তিলকপুর বাজারের রাকিব।
জানা গেছে, তিলকপুর ইউনিয়নের তিলকপুর নেটওয়ার্কের ইন্টারনেট ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের কাছ থেকে চিয়ারীগ্রাম পাকুরডারিয়ার সাদ্দাম হোসেন ব্যান্ডউইথ নিয়ে ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। কয়েক দিন আগে লেনদেন নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ বাধে। এর জের ধরে মঙ্গলবার পাকুরডারিয়া মোড়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি নিয়ে চন্দনদীঘি বাজারের একটি দোকানে বসে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সমাধান হয়নি। পরে পাকুরডারিয়া তিন মাথা মোড়ে উভয় পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় বেলাল হোসেন, তাঁর ভাই তিলকপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইমদাদুল হক বিশাল, রায়কালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।
বেলাল হোসেনের ভাই সাব্বির হোসেন বলেন, ‘সাদ্দাম তিলকপুর নেটওয়ার্কের ব্যান্ডউইথ নিয়ে ব্যবসা করছিল। অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় সে আমাদের না জানিয়ে অন্য কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি। এতে ক্ষিপ্ত হয় সে। মঙ্গলবার বিকেলে আমরা জাফরপুর থেকে চন্দনদীঘি বাজারে ইন্টারনেট তার টানছিলাম। সে আমাদের ৫০০ মিটার তার কেটে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে সাদ্দাম আমার ভাই বেলালকে মারতে আসে। পরে দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।’
রায়কালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আহত রাজু আহম্মেদ বলেন, ‘ঘটনার সময় রাস্তার পাশে শ্যালো মেশিন মেরামত করছিলাম। এ সময় বেলালের লোকজন ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে ১৫-২০ জন এসে তিনমাথা মোড়ে আবু হোসেনের দোকানে ক্যারম খেলা অবস্থায় মুমিনুলকে ধরে এনে রাস্তায় ফেলে মারধর করতে থাকে। আমরা তাঁকে বাঁচাতে গেলে আমাদেরও মারধর করে। পরে তারা আবু হোসেনের দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা লুট করে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে কথা বলতে সাদ্দাম হোসেনের বাসায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব তানভীর নেওয়াজ বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই আমরা হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়েছিলাম। প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নেওয়ার আহ্বান করছি প্রশাসনের কাছে।’
ওসি আনিছুর রহমান বলেন, ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় বেলাল হোসেনের ভাই রোকনুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প ক রড র য় আহম ম দ ত লকপ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
৪৪তম বিসিএসের ৪০০ রিপিট ক্যাডার বাদ দিচ্ছে সরকার, নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
৪৪তম বিসিএসে পুনরাবৃত্তি হওয়া ৪০০ ক্যাডারকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তারা ৪৩তম বিসিএসে বা আগের বিসিএসে যে ক্যাডারে আছেন ৪৪তম বিসিএসেও একই ক্যাডার পেয়েছিলেন। এই ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত দ্রুতই হবে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
প্রথম আলোকে ওই কর্মকর্তা আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ৪০০ ক্যাডারকে নিয়ে পিএসসির কিছু সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এগুলো বাদ দিতে সরকার কাজ করছে। বাদ দিলে কি করা হবে তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। এখন পিএসসিকে এ বিষয় নিয়ে একটি মতামত দিতে বলা হয়েছে। পেলেই তা পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে প্রজ্জাপন দেওয়া হবে। এটি যাতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি।
আরও পড়ুন৪৯তম বিসিএস: অনলাইন আবেদন ও ফি জমাদানে পিএসসির নতুন নির্দেশনা৩০ জুলাই ২০২৫৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল ৩০ জুন প্রকাশিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৬৯০ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সাময়িকভাবে মনোনীত করেছে।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৯০ জনের মধ্যে প্রায় ৪০০ জন প্রার্থী একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন (রিপিট ক্যাডার)। এই ৪০০ জনের তালিকা পেয়েছে পিএসসি। এই রিপিট ক্যাডার বন্ধে বিধি সংশোধন করা হচ্ছে। এ–সংক্রান্ত চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় পিএসসি।
পিএসসি জনপ্রশাসনের চিঠিতে বলছে, এই রিপিট ক্যাডারের ফলে নতুন ও অপেক্ষমাণ মেধাবীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি প্রশাসনিক কাঠামো ও জনসম্পদের সদ্ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি করছে। এখন এটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
একাধিকবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একই ক্যাডারে পুনরায় সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়া বন্ধ করার জন্য বিদ্যমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪–এর বিধি-১৭ এর শেষে নিম্নোক্ত শর্ত যুক্ত করার প্রস্তাব করেছে পিএসসি।
আরও পড়ুনসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪০০০ শূন্য পদ পূরণে উদ্যোগ২৯ জুলাই ২০২৫শর্তে কী আছে—পিএসসির চিঠিতে শর্ত হিসেবে বলা আছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিবার প্রাক্কালে, কিংবা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রস্তুতকালে, সংশ্লিষ্ট প্রার্থী কর্তৃক প্রদত্ত লিখিত তথ্যের ভিত্তিতে কিংবা কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যদি কমিশনের নিকট প্রতীয়মান হয় যে এই বিধির আওতাধীন মনোনয়নযোগ্য কিংবা মনোনীত কোনো প্রার্থী একই ক্যাডার পদ, সমপদ কিংবা প্রার্থীর আগ্রহ নেই এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হইবার কারণে মনোনীত সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে যোগদান করিতে অনিচ্ছুক, এইরূপ ক্ষেত্রে কমিশন অনাগ্রহ প্রকাশকারী প্রার্থীকে এই বিধির আওতাধীন সরকারের নিকট সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিতে পারিবে; আরও শর্ত থাকে যে প্রথম শর্তাংশে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে সুপারিশ করা হইতে বিরত থাকিবার কারণে উদ্ধৃত শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ প্রেরণ করিবার জন্য উত্তীর্ণ প্রার্থিগণের মধ্য হইতে মেধাক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচনপূর্বক কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ এবং সার্ভিসে বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করিতে পারিবে;আরও অধিকতর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় শর্তাংশে উল্লিখিত সম্পূরক ফলাফল দ্বারা বা উহার পরিণতিতে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর প্রতিকূলে কোনো পরিবর্তন ঘটানো কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাইবে না।’
আরও পড়ুনবস্ত্র অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ, চাকরির সুযোগ ১৯০ জনের২৯ জুলাই ২০২৫