‘আসেনসিও মরো’ স্লোগান গ্যালারিতে, থামল খেলা, জিতল রিয়াল
Published: 27th, February 2025 GMT
সান সেবাস্তিয়ানে ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে থেমে গেল খেলা। রেফারি হোসে মারিয়া সানচেজ মার্তিনেজই খেলা থামালেন। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক ভিনিসিয়ুস জুনিয়র তাঁকে জানান, গ্যালারি থেকে রাউল আসেনসিওকে উদ্দেশ্য করে ‘আসেনসিও মরো’ স্লোগান শুনতে পেয়েছেন খেলোয়াড়েরা।
রেফারিকে তাই বাধ্য হয়েই স্পেনের ‘অ্যান্টি হেট প্রটোকল’ নিয়মের অধীনে খেলা থামাতে হলো। এরপর স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভেসে উঠল একটি বার্তা, যেটা লাউডস্পিকারেও পাঠ করে শোনানো হলো দর্শকদের, ‘বর্ণবাদী, জাতিগত বিদ্বেষী ও অসহিষ্ণু স্লোগান দেওয়া যাবে না। দলকে সমর্থন দিন, প্রতিপক্ষকে সম্মান করুন।’
আরও পড়ুনপ্রতিপক্ষ কোচের ঘাড় ধরে জরিমানা গোনার পর গোল করে দলকে জেতালেন মেসি২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫রিয়ালের ২২ বছর বয়সী সেন্টারব্যাক আসেনসিও সাম্প্রতিক সময়ে স্পেনের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে তাঁর বিরুদ্ধে দর্শকদের স্লোগান শুনছেন। কিন্তু সে জন্য ম্যাচে খেলা থামানোর ঘটনা এই প্রথম। তাঁর বিরুদ্ধে দর্শকদের খেপে ওঠার কারণ একটি পুলিশি মামলা। রিয়ালের বয়সভিত্তিক দলের দুজন খেলোয়াড় অপ্রাপ্তবয়স্ক এক মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও করেছিলেন, যেটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করার অভিযোগে মামলা এবং তদন্ত চলছে স্পেনের আদালতে আসেনসিওর বিরুদ্ধে।
এনদ্রিকের গোলে জিতেছে রিয়াল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইবিতে অভয়ারণ্যের মেহেদি উৎসব
হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ফেরাতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মেহেদি ও নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেছে পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্য।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তারা এ আয়োজন করে।
আরো পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে চলছে রাস উৎসব ও মেলা
পুণ্যস্নান মধ্য দিয়ে কুয়াকাটায় শেষ হলো রাস উৎসব, মেলা চলবে ৫ দিন
সরেজমিনে দেখা যায়, মেহেদি ও নবান্ন উৎসব ঘিরে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতি। রঙিন কাগজের সাজে পুরো স্থানজুড়ে তৈরি হয়েছিল উৎসবের আমেজ। পরিবেশবান্ধব বার্তা বহনকারী ঝুলন্ত ডেকোরেশন, প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার স্টল এবং সাহিত্য–সংস্কৃতির বিভিন্ন উপস্থাপনা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেয়। প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার হার কমে গেলেও এ আয়োজন সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
ফাতিমা খাতুন নামে ইবির এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর মধ্যে অভয়ারণ্য সবসময়ই ব্যতিক্রম। আজ মেহেদি উৎসবে এসে আমার অনেক ভালো লাগছে। আজকাল প্রাকৃতিক মেহেদি দেওয়ার সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। তারা সেই সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাছাড়া নবান্ন উৎসব যেখানে একদম বিলীনপ্রায়, সেখানে তারা এটারও আয়োজন করেছে। আশা করছি, এ রকম সুন্দর আয়োজন চলমান থাকবে।”
সংগঠনটির সভাপতি নাইমুল ফারাবী বলেন, “আমরা এবার দ্বিতীয়বারের মতো মেহেদি উৎসবের আয়োজন করছি। একসময় মেয়েদের হাত সর্বদা মেহেদীর রঙে রাঙা থাকত। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এ চর্চা এখন কমে গেছে। এটাকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আজকের এই আয়োজন।”
তিনি বলেন, “আজ যে মেহেদি দেওয়া হচ্ছে, সেটা আমাদের সংগঠনের রোপণ করা গাছের পাতা থেকে তৈরি। এর মাধ্যমে আমরা শুদ্ধতা ছাড়িয়ে দিতে চাই।”
তিনি আরো বলেন, “মেহেদি উৎসবের পাশাপাশি আমরা এবার প্রথমবারের মতো নবান্ন উৎসব আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে আমার বাংলার সংস্কৃতিকে পূনর্জ্জীবিত করতে চাচ্ছি। বাংলার বহুল প্রচলিত সংস্কৃতিকে যাতে করে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ধারণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের এই আয়োজন।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী