গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওই ডাবল সেঞ্চুরি আলোচনায় আসবে বারবার। আফগানিস্তান–অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হলে তো কথাই নেই!

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগামীকাল মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাক্সওয়েলের অবিশ্বাস্য ডাবল সেঞ্চুরি আলোচনায় এসেছে। আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহও প্রত্যাশিত উত্তরটা দিয়েছেন। মানে তিনি নিশ্চয়ই ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনা ফাঁস করবেন না!

সেদিন ২৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। সেটিও চোটের সঙ্গে লড়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ম্যাক্সওয়েলের ওই ইনিংসেই বিশ্বকাপে ছন্দ খুঁজে পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া হাশমতউল্লাহই ছিলেন সেই ম্যাচের অধিনায়ক। ওই ইনিংসের প্রভাব কতটা, সেটি তিনি ভালো করেই জানেন!

আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে। কারণ, আমরা শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে খেলছি না—আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছিহাশমতউল্লাহ শহীদি

কাল ইংল্যান্ডকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্সওয়েল প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেছেন, ‘আপনি কি মনে করেন আমরা শুধু ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে খেলতে এসেছি? আমাদের পরিকল্পনা পুরো অস্ট্রেলিয়া দলকে ঘিরেই। আমি জানি, সে ২০২৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছে, কিন্তু সেটা ইতিহাসের অংশ।’

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নেয় আফগানিস্তান। সেদিনও জ্বলে উঠেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে ৫৯ রানে তাঁকে ফিরিয়ে দেন গুলবদিন নাইব। এই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন হাশমতউল্লাহ, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের হারিয়েছি। আমরা প্রতিপক্ষ দলের সবাইকে নিয়ে ভাবি, শুধু একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে পরিকল্পনা করি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে। কারণ, আমরা শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে খেলছি না—আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছি।’

দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাশমতউল্লাহ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন ম য ক সওয় ল ম য ক সওয

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ