‘আমরা কি শুধু ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে খেলতে এসেছি’—পাল্টা প্রশ্ন আফগান অধিনায়কের
Published: 27th, February 2025 GMT
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওই ডাবল সেঞ্চুরি আলোচনায় আসবে বারবার। আফগানিস্তান–অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হলে তো কথাই নেই!
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আগামীকাল মুখোমুখি হওয়ার আগে প্রত্যাশিতভাবেই ম্যাক্সওয়েলের অবিশ্বাস্য ডাবল সেঞ্চুরি আলোচনায় এসেছে। আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহও প্রত্যাশিত উত্তরটা দিয়েছেন। মানে তিনি নিশ্চয়ই ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে তাঁদের পরিকল্পনা ফাঁস করবেন না!
সেদিন ২৯২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ১২৮ বলে ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল। সেটিও চোটের সঙ্গে লড়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ম্যাক্সওয়েলের ওই ইনিংসেই বিশ্বকাপে ছন্দ খুঁজে পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর আফগানিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আফগানিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া হাশমতউল্লাহই ছিলেন সেই ম্যাচের অধিনায়ক। ওই ইনিংসের প্রভাব কতটা, সেটি তিনি ভালো করেই জানেন!
আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে। কারণ, আমরা শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে খেলছি না—আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছিহাশমতউল্লাহ শহীদিকাল ইংল্যান্ডকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে ম্যাক্সওয়েল প্রসঙ্গ উঠতেই তিনি বলেছেন, ‘আপনি কি মনে করেন আমরা শুধু ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে খেলতে এসেছি? আমাদের পরিকল্পনা পুরো অস্ট্রেলিয়া দলকে ঘিরেই। আমি জানি, সে ২০২৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছে, কিন্তু সেটা ইতিহাসের অংশ।’
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়ানডে বিশ্বকাপে হারের প্রতিশোধ নেয় আফগানিস্তান। সেদিনও জ্বলে উঠেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে ৫৯ রানে তাঁকে ফিরিয়ে দেন গুলবদিন নাইব। এই প্রসঙ্গও তুলে ধরেন হাশমতউল্লাহ, ‘আমরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের হারিয়েছি। আমরা প্রতিপক্ষ দলের সবাইকে নিয়ে ভাবি, শুধু একজন খেলোয়াড়কে নিয়ে পরিকল্পনা করি না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে। কারণ, আমরা শুধু ম্যাক্সওয়েলের বিপক্ষে খেলছি না—আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলছি।’
দলকে দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাশমতউল্লাহ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন ম য ক সওয় ল ম য ক সওয
এছাড়াও পড়ুন:
৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, “দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।”
আরো পড়ুন:
বরগুনায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা মামুন
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
রবিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।
প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের প্রতিটি সংসদীয় আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য এবং জনপ্রিয় প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়। ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে রাজপথের সঙ্গী ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এই বাস্তবতার কারণে হয়তো কিছু সংসদীয় সংসদীয় আসনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা, দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আপনারা এই বাস্তবতাকে মেনে নেবেন।”
জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, “দেশে প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্য নতুন শর্ত জুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী নাগরিকেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।”
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মানুষের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের শাসন আমলে জনগণের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে?... এমন তো হবার কথা ছিল না।”
বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “উদ্বেগ এবং আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার এবং অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।”
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ‘ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিগত ১৫ বছরে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।”
প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে মন্তব্য করে তারেক রহমান জানান, তবে বিএনপির প্রতি দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাপ্রিয় জনগণের আস্থা, ভালোবাসা থাকায় সে সংকট কাটিয়েছে তার দল।
তারেক রহমান বলেন, “দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে একদিকে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব, যতটুকু যথাসাধ্য সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে আমরা সহযোগিতা করে আসছি।”
দেশে নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সামাজিক উদাসীনতা প্রকট হয়ে উঠছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এ সংক্রান্ত গণমাধ্যমের প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, “নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপত্তাহীন সমাজ নিশ্চয়ই সভ্য সমাজ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।”
সেজন্য তিনি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলসহ বাংলাদেশের সচেতন নারী সমাজকে তাদের দাবি সরকারের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনলাইনে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ এবং তার ফি পরিশোধের প্রক্রিয়া নিয়ে একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাতে বলা হয়, এখন থেকে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে অনলাইনে বিএনপির দলীয় ওয়েবসাইটে গিয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা যাবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জে ড এম জাহিদ হাসান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ