আত্মপ্রকাশ হতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’র শীর্ষ ১০ পদ চূড়ান্ত হয়েছে। শীর্ষ ১০ পদে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে থাকছেন দুজন করে।

দলটির শীর্ষ দশ পদে রয়েছেন- আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিবা, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ (দক্ষিণাঞ্চল), মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম (উত্তরাঞ্চল), মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ।

বিস্তারিত আসছে.

..

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনস প সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষি কর্মকর্তাকে বাঁশ দিয়ে পেটালেন সাবেক বিএনপি নেতা ও তার ছেলে

বরিশালের হিজলা উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার ঘটনা ঘটেছে। রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলার টেকেরবাজার বাজারে এ  ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী রাতেই হিজলা থানায় মামলা করেন। 

হামলার শিকার ফখরুল ইসলাম উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা। তার ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেন হিজলা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস দেওয়ান (৫০) ও তার ছেলে হিজলা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জিসান। 

ফখরুল ইসলাম জানান, হিজলা উপজেলায় প্রণোদনায় নারিকেল চারা বিতরণ করা হয়। বিএনপি নেতা গিয়াস দেওয়ান একটি নামের তালিকা দেন এবং তালিকা অনুযায়ী চারা বিতরণ করতে বলেন। কিন্তু শ্রেণিবিন্যাসে তারা প্রণোদনার চারা পাওয়ার উপযুক্ত নন। এ কারণে তাদের চারা দেওয়া হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হন গিয়াস। 

তিনি আরও জানান, রোববার রাত ৯টার দিকে টেকেরবাজার থেকে অফিসের কাগজপত্র ফটোকপি করে ফিরছিলেন। এ সময় গিয়াস ও তার ছেলে জিসানসহ ৪-৫ জন আমার পথরোধ করেন। পরে একটি চায়ের দোকানে নিয়ে বাঁশ দিয়ে পিটানো হয়। তারা আমাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হয়। তার নির্দেশে রাতেই হিজলা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। 

মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা থানার ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম বলেন, ফখরুল ইসলামের লিখিত অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

অভিযুক্ত গিয়াস দেওয়ান ও তার ছেলে জিসান আত্মগোপনে ও ফোন বন্ধ থাকায় তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে গিয়াস আরেকটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। কে বা কারা কৃষি কর্মকর্তার ওপর হামলা করে তাদের ওপর দোষ চাপিয়েছে।’ 

হিজলা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদার বলেন, গিয়াস দেওয়ান ও তার ছেলে কৃষি কর্মকর্তা ফখরুলের ওপর হামলা করেছেন। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বিষয়টি দলের ঊর্ধ্বতন দায়িত্বশীলদের জানানো হবে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ