জুলাই অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন পর্যন্ত যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ও নতুন রাজনৈতিক দলের মুখ্য সমন্বয়কের দায়িত্ব পাওয়া নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী।

আজ শুক্রবার বিকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের সড়কে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা জানান।

নাসীরুদ্দিন বলেন, জাতীয় নাগরিক কমিটি ৪০০ থানায় পৌঁছে কমিটি দিয়েছে। অবশেষে সবার সহযোগিতায় আজ ঐতিহাসিকভাবে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি। এই চলার পথে জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগকারী শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারাসহ যারা আমাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ও তাদের আত্মত্যাগকে স্বীকার করছি। আগামীতে আমরা সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করব।

এ সময় তরুণদের হাত ধরে যে নতুন রাজনৈতিক দল আসতে যাচ্ছে সে দলের কর্ণধারদের উদ্দেশে নাসির বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে যে দলটি আসতে যাচ্ছে, তাদের এই পথচলায় যারা পাশে এসে দাঁড়িয়েছে সবার ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন আপনারা। বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে আগামীতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির এই নেতা। সবশেষে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বক্তব্য শেষ করেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন স র দ দ ন প টওয় র

এছাড়াও পড়ুন:

২০ বছর পর শুধু ভেবেই নিজের নাম লিখলেন নিউরালিংক ব্যবহারকারী

২০ বছর ধরে নিজের নাম লিখতে পারেননি অড্রি ক্রুস। অবশেষে কলম বা কি–বোর্ড নয়, শুধু চিন্তা দিয়েই নাম লিখেছেন তিনি। নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্কে স্থাপনযোগ্য চিপের সাহায্যে এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের সই করা একটি ছবি প্রকাশ করেন অড্রি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘২০ বছর পর প্রথমবার নিজের নাম লেখার চেষ্টা করলাম। এখনো অনুশীলন চলছে।’

অড্রি ক্রুসের বার্তাটি শেয়ার করে নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন, ‘তিনি কেবল চিন্তা করেই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ জানেনই না, এখন এমন কিছু সম্ভব।’ এ মন্তব্যের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে প্রযুক্তি মহলে শুরু হয় আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টটি এক কোটির বেশি বার দেখা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘আপনি এটা সত্যিই ভেবে লিখেছেন?’ কেউ কেউ লেখেন, ‘এটাই এ বছরের সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা।’

অনেকে বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। নিউরালিংকের উদ্ভাবিত চিপ মস্তিষ্কের ভেতরকার স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত শনাক্ত করে তা ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হাত-পা নাড়াতে না পারলেও কেবল চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অড্রির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তার হারানো সক্ষমতা ফিরিয়ে এনেছে।

নিউরালিংক এখন ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামে একটি নতুন চিপ নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিরা আবার দেখতে পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি স্বাভাবিকের চেয়েও উন্নত দৃষ্টিশক্তি দিতে সক্ষম হতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিটি শুধু বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর এর ব্যবহার শুরু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউরালিংক ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য স্থির করেছে।

সূত্র: টেকক্লুসিভ

সম্পর্কিত নিবন্ধ