অভিনেত্রী ফাতিমা সানা শেখ সম্প্রতি যৌন হয়রানি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। এক ব্যক্তি তাঁকে প্রকাশ্যে অযাচিতভাবে স্পর্শ করলে প্রতিবাদ জানানোর পর, সেই ব্যক্তিই তাঁকে আঘাত করে বসেন। ফাতিমার ভাষায়, ‘আমি ওকে মেরেছিলাম কারণ সে আমাকে বাজেভাবে স্পর্শ করেছিল। কিন্তু ও এত জোরে আমাকে মারে যে আমি একেবারে মাটিতে পড়ে যাই।’

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ফাতিমা সানা শেখ অভিনীত নতুন সিনেমা ‘মেট্রো.

..ইন দিনো’। সিনেমার প্রচার উপলক্ষে হটারফ্লাইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফাতিমা জানান, ঘটনাটি তাঁর মনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। ‘ঘটনার পর আমি আরও সাবধান হয়ে যাই।

বুঝতে পারি, এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত, সেটাও ভাবতে হয় আমাদের।’ বলেন তিনি। অভিনেত্রী আরও যোগ করেন, ‘এটা এমনই এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা যে ভাবতেই শিউরে উঠি।’

লকডাউনের মধ্যেও নিস্তার মেলেনি
ফাতিমা আরও একটি অভিজ্ঞতার কথা জানান, যা ঘটেছে করোনা লকডাউনের সময়, মুম্বাইয়ের রাস্তায়।

আরও পড়ুনদ্বাদশ শ্রেণিতে অকৃতকার্য হয়েছিলেন ‘দঙ্গল’-কন্যা ফাতিমা, অতঃপর...০২ জুলাই ২০২৫

‘লকডাউনের সময় আমি মাস্ক পরে সাইকেল চালাচ্ছিলাম। একটা টেম্পো ড্রাইভার হর্ন বাজিয়ে ও কুৎসিত আওয়াজ করে যাচ্ছিল। আমি নিজের গলির ভেতর না যাওয়া পর্যন্ত সে আমাকে অনুসরণ করে,’ বলেন তিনি।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালুর ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম।

রবিবার (২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের থিসিস শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা সহায়তা হিসেবে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন:

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন

ইবিতে কুরআন ও হিজাববিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ শিক্ষার্থীদের

অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাডেমিক ও গবেষণামুখী শিক্ষার্থীদের জন্য শুভেচ্ছা ও দোয়ার নিদর্শনস্বরূপ কিছু করতে পারায় আমরা আনন্দিত। আমরা থিসিস শিক্ষার্থীদের গবেষণা সহায়তার পাশাপাশি খুব শিগগিরই পিএইচডি গবেষকদের জন্যও অনুরূপ বৃত্তি চালু করব।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়ন ও গবেষণার পরিধি বাড়াতে প্রশাসন অব্যাহতভাবে কাজ করছে। গবেষণার সুযোগ বাড়াতে এবং শিক্ষার্থীদের আগ্রহ সৃষ্টিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা করবে।”

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “গবেষণার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের থিসিসে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ ধরনের অনুদান প্রদান একটি যুগোপযোগী পদক্ষেপ। অনুদানের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করবে।”

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের আওতায় প্রতিটি থিসিস শিক্ষার্থী ১৪ হাজার ১২৪ টাকা করে অনুদান পাবেন। এ অর্থ শুধু গবেষণাসংক্রান্ত কাজে ব্যয়যোগ্য এবং ‘থিসিস শিক্ষার্থীদের বৃত্তি’ হিসেবে বিবেচিত হবে।

অনুষ্ঠানে প্রতিটি অনুষদ থেকে দুজন করে শিক্ষার্থী উপাচার্যের কাছ থেকে চেক গ্রহণ করেন। অবশিষ্ট শিক্ষার্থীরা আগামীকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তর থেকে পরিচয়পত্র বা প্রবেশপত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে চেক সংগ্রহ করতে পারবেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ