২০ বছর ধরে নিজের নাম লিখতে পারেননি অড্রি ক্রুস। অবশেষে কলম বা কি–বোর্ড নয়, শুধু চিন্তা দিয়েই নাম লিখেছেন তিনি। নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্কে স্থাপনযোগ্য চিপের সাহায্যে এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের সই করা একটি ছবি প্রকাশ করেন অড্রি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘২০ বছর পর প্রথমবার নিজের নাম লেখার চেষ্টা করলাম। এখনো অনুশীলন চলছে।’

অড্রি ক্রুসের বার্তাটি শেয়ার করে নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন, ‘তিনি কেবল চিন্তা করেই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ জানেনই না, এখন এমন কিছু সম্ভব।’ এ মন্তব্যের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে প্রযুক্তি মহলে শুরু হয় আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টটি এক কোটির বেশি বার দেখা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘আপনি এটা সত্যিই ভেবে লিখেছেন?’ কেউ কেউ লেখেন, ‘এটাই এ বছরের সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা।’

অনেকে বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। নিউরালিংকের উদ্ভাবিত চিপ মস্তিষ্কের ভেতরকার স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত শনাক্ত করে তা ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হাত-পা নাড়াতে না পারলেও কেবল চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অড্রির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তার হারানো সক্ষমতা ফিরিয়ে এনেছে।

নিউরালিংক এখন ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামে একটি নতুন চিপ নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিরা আবার দেখতে পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি স্বাভাবিকের চেয়েও উন্নত দৃষ্টিশক্তি দিতে সক্ষম হতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিটি শুধু বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর এর ব্যবহার শুরু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউরালিংক ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য স্থির করেছে।

সূত্র: টেকক্লুসিভ

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে ট্রলার চালককে কুপিয়ে  

বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রিফাত (২১) নামে এক  ট্রলার চালককে হত্যা উদ্দেশ্য কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে আহত ট্রলার চালকের মা লিপি আক্তার বাদী হয়ে হামলাকারি সন্ত্রাসী তন্ময়কে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

জখমপ্রাপ্ত ট্রলার চালক রিফাত বন্দর থানার নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার গাজী মিয়ার ছেলে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টায় বন্দর থানার কবিলেরমোড়স্থ চায়ের দোকানের সামনে এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় হামলাকারি তন্ময়  ট্রলার চালক রিফাতের কাছ থেকে একটি এনড্রয়েট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

জানা গেছে বন্দর থানার নবীগঞ্জ রসুলবাগ এলাকার গাজী মিয়ার ছেলে ট্রলার চালক রিফাতের সাথে একই থানার নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার ডালিম মিয়ার ছেলে তন্ময় সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল।

এ ঘটনার জের ধরে  গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় নবীগঞ্জ কবিলেরমোড় এলাকায় একটি চায়ের দোকানের সামনে ট্রলার চালক রিফাতকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্য বেদম ভাবে কুপিয়ে একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

পরে স্থানীয়রা ট্রলার চালককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত উন্নত  চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ