মানুষ জন্মস্বাধীন প্রাণী। তার মনের ভাবনা অপরিসীম। চাইলেই সেসব ভাবনা নিজের মধ্যে লালন করা যায় না। ভাবনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকা যে শ্রেয়, একজন সাধারণ মানুষও সেটি বোঝেন। ধরুন আপনার মনে জাগতেই পারে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্থানে আপনিই হবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। কিংবা আপনার মনে হতেই পারে, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার যথাযোগ্য প্রেসিডেন্ট নন। তাই তাঁকে সরিয়ে দি য়ে আপনি বা আপনার যোগ্য ব্যক্তিকে সেখানে বসাবেন। এই ভাবনার পক্ষে আপনি যুক্তি দেখাতে পারেন। রাজ্যের যুক্তি থাকতেই পারে আপনার কাছে। তাই বলে এর বাস্তবায়নে কোনো অনৈতিক কাজ আপনার ধারা হতে পারে না। শুধু তাই নয়, আপনার লেখার মাধ্যমে অন্যকেও উস্কানি দেওয়া যাবে না।
ফেসবুক ও অবস্থান: বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয়, আলোচিত বা সমালোচিত যাই বলি না কেন, সবচেয়ে সেরা সোশ্যাল নেটওয়ার্ক যে ফেসবুক তা একবাক্যে সবাই স্বীকার করবে। ১৩ বছরের বেশি যে কেউ ফেসবুকে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে পারে। নিজের ভাবনা শেয়ার করতে পারে। অন্যের ভাবনার ব্যাপারে মতামত দিতে পারে। কিন্তু আপনি পারেন না অন্যের মতামতের বিরুদ্ধে মারামারি করতে। অন্যের মতামত যদি আপনার পছন্দ না হয় তবে আপনি সেটি অস্বীকার করতে পারেন, বা সেই মতামত কেন আপনার পছন্দ নয়, সেই যুক্তি দিতে পারেন। এমনও হতে পারে, ওই ব্যক্তির জানা কম তাই সে অমনটাই ভাবছে। আপনি যদি তাঁকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলতে পারেন, তিনি আপনার যুক্তি মেনেও নিতে পারেন। তাই বলে প্রকাশ্যে হানাহানি নয়। ফেসবুকে একটি সংবাদ পেলেই এটির তথ্যসূত্র নিশ্চিত না হয়ে সেটি শেয়ার করা থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। তেমনি কোনো ঘটনা পুরোপুরি না জেনে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়াও উচিত নয়।
ব্লগিং: আপনি হয়তো শখের বশেই ব্লগিং শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেটি এখন আপনার অস্তিত্বের প্রধান হাতিয়ার। তাই বলে আপনি যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন না আপনার ব্লগের পাতায়। সুনির্দিষ্ট যুক্তি ছাড়া কিছু বলা কখনোই সেটি বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না।
সন্তুষ্টির পথে: অনলাইন জগতের ব্লগ, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আমাদের হতে হবে স্বাধীন, স্বেচ্ছাচারী নয়। আমাদের হতে হবে স্মার্ট, কিন্তু অযৌক্তিক কিছু নয়। জীবন সুন্দর আর উপভোগ্য করতে হলে আপনাকে থাকতে হবে নির্মল। u
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণে চারজন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাসের মিটার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডে চার নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রূপসী কাজীপাড়া এলাকার জৈনপুরী আশরাফিয়া টেক্সটাইল কারখানায় (মঞ্জু টেক্সটাইল) এ ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মে দিবসের কারণে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ। এ জন্য লাইনে গ্যাসের উচ্চ চাপ সৃষ্টি হয়ে মিটারে বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে আগুন ধরে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী দগ্ধ হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় দগ্ধ আবদুল হান্নান (৫০), কবির হোসেন (৪৫) ও সাইফুল ইসলামকে (২৫) রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। দগ্ধ অন্যজনের নাম জানা যায়নি। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চারজনকে হাসপাতালে আনা হয়। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি তিনজনের শরীরের ৩৪ থেকে ৫৩ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, রাতের ডিউটি (দায়িত্ব) শেষে সকাল আটটার দিকে শ্রমিকেরা কারখানা ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস কক্ষে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। তখনই চারজন দগ্ধ হন। পরে কারখানার লোকজন ও স্থানীয় লোকজন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ দাবি করে কারখানার মালিক মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া বলেন, ঘটনার পর আপাতত কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকদের সব চিকিৎসার ব্যয় কারখানা থেকে বহন করা হবে। তাঁদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।