সর্বশেষ পাঁচটি ওয়ানডেই জিতেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডও তো তাই। দুই দলই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে আগেই। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সেই দুই দল আজ মুখোমুখি দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে বলেই গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিকে ‘মরা’ ম্যাচ বলার উপায় নেই। ‘এ’ গ্রুপের সেরা ও দ্বিতীয় সেরা হয়ে কারা সেমিফাইনালে যাবে, সেটি যে নির্ধারিত হবে এ ম্যাচেই।
ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে। জয়ী দলটি শেষ চারে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ অস্ট্রেলিয়াকে। আর আজ যারা হারবে, তারা সেমিফাইনাল খেলবে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে রাওয়ালপিন্ডি ও লাহোরের সর্বশেষ দুই ম্যাচের মতো যদি এ ম্যাচ ফল না দেখে, তবে নিউজিল্যান্ড গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ও ভারত গ্রুপ রানার্সআপ হিসেবে উঠবে সেমিফাইনালে। অবশ্য দুবাইয়ের এই ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় শূন্যের কোঠায়।
টুর্নামেন্টের নিজেদের প্রথম দুই বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিং লাইনআপকে তেমন কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। ওই দুই ম্যাচে ২২৯ ও ২৪২ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল দলটি। শুবমান গিল ও বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে হেসেখেলেই ম্যাচ দুটি জিতেছে ভারত। দলটির তারকাখচিত ব্যাটিং লাইনআপ আজ নিউজিল্যান্ডের দুই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েলকে কীভাবে সামলায়, সেটিই দেখার বিষয়।
আজকের ম্যাচটি ওয়ানডেতে কোহলির ৩০০তম। ২০০৪ সালের পর যাঁদের ওয়ানডে অভিষেক, তাঁদের মধ্যে ৩০০ ওয়ানডে খেলা প্রথম ক্রিকেটার হতে যাচ্ছেন এই সংস্করণে রেকর্ড ৫১ সেঞ্চুরির মালিক। সর্বশেষ সেঞ্চুরিটি কোহলি আবার পেয়েছেন সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
স্পোর্টস কুইজ: এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম সেঞ্চুরিয়ান কে ও আরও ৯ প্রশ্নসেই ম্যাচআজকের আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই দল মাত্র একবারই মুখোমুখি হয়েছে। ২০০০ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে সেই ম্যাচটি ছিল ফাইনাল। অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর সেঞ্চুরিতে ভারত করেছিল ৬ উইকেটে ২৬৪ রান। ক্রিস কেয়ার্নসের অপরাজিত ১০২ রানে ভর করে রানটা ২ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নিউজিল্যান্ড।২০২৩ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ ওয়ানডেতেই এই সংস্করণে ৫০তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি