Prothomalo:
2025-08-01@04:43:44 GMT

উদ্যানের আয়তন ২.৬ বর্গফুট

Published: 2nd, March 2025 GMT

ইট-পাথরের শহুরে জীবনে প্রকৃতির কাছে গিয়ে খানিকটা স্বস্তির নিশ্বাস নিতে উদ্যানের বিকল্প আর কী হতে পারে। উদ্যানের বেঞ্চে বসে বা হাঁটাচলা করে দারুণ কিছু সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু সেই উদ্যানের আয়তন যদি হয় মাত্র ২ দশমিক ৬ বর্গফুট!

ঠিকই শুনেছেন, জাপানের একটি আস্ত উদ্যানের আয়তন এমনই। মধ্য জাপানের শিজুওকা অঞ্চলের এই উদ্যান এখন বিশ্বের ক্ষুদ্রতম উদ্যান। উদ্যানটিতে বসার জন্য পাতা আছে একটি টুল। পাথরের ওপর কাঠের মোটা তক্তা দিয়ে টুলটি বানানো হয়েছে। টুলের চারপাশে আছে ক্ষুদ্র একটি ঝোপ। দূর থেকে ঝোপটিকে দেখে বনসাই মনে হবে। গাছকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ক্ষুদ্র রূপ দেওয়াকে বনসাই বলে। জাপানে বনসাই খুবই জনপ্রিয়।

জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে ৬৮ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর নাগাইজুমি। শহরটির টাউন হল থেকে উদ্যানটি হাঁটাপথের দূরত্বে।

গত মঙ্গলবার নাগাইজুমির ওই খুদে উদ্যানের নাম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওঠে।

এর আগে এই রেকর্ডের মালিক ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনের পোর্টল্যান্ডের ‘মিল এন্ডস পার্ক’। নাগাইজুমির এক বাসিন্দা ছুটিতে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়াতে গিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র উদ্যান সম্পর্কে জানতে পারেন। তখনই তাঁর মাথায় মিল এন্ডস পার্ক থেকেও ছোট উদ্যান তৈরির চিন্তা আসে।

ওই ব্যক্তির নাম শুজি কোয়ামা। তিনি নাগাইজুমির অবকাঠামো নির্মাণ বিভাগের একটি দলের প্রধান।

১৯৮৮ সালে উদ্যানটি তৈরি করা হয়। স্থানীয়রা তখন থেকেই সেটিকে সবচেয়ে ক্ষুদ্র উদ্যান বলতেন, কিন্তু সেটির আনুষ্ঠানিক কোনো স্বীকৃতি ছিল না।

পরে কর্তৃপক্ষ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম ওঠাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কটির আয়তন মাপার ব্যবস্থা করেন।

কোয়ামা পরে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষকে বলেন, শেষ পর্যন্ত উদ্যানটি স্বীকৃতি পেয়েছে জেনে তিনি স্বস্তি বোধ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এলাকাবাসীর সঙ্গে মিলে এই উদ্যানের রক্ষণাবেক্ষণ চালিয়ে যেতে চাই। আমরা উদ্যানটিকে এমনভাবে সাজাতে চাই যেন সেটা আরও বেশি সামাজিক যোগাযোগবান্ধব হয়। আমরা চাই, এই উদ্যান দেখতে আরও অনেক মানুষ আমাদের শহরে আসুক।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন গ ইজ ম র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ