ভারতের সামনে কী অপেক্ষা করছে, ‘সেইম সেইম’ না ‘ডিফারেন্ট’
Published: 2nd, March 2025 GMT
সেইম সেইম বাট ডিফারেন্ট—বাক্যটি শুনেছেন নিশ্চয়! সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ট্রল পেজগুলোতে হরহামেশা পড়ছেনও। দুটি বিষয়ের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য থাকলেও অনেক দিক থেকে মিল আছে বা ‘রিমেক’ করা হয়েছে, সাধারণত এ রকম কিছু বোঝাতে কথাটি ব্যবহার করা হয়।
২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া বলিউডের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র ‘বোম্বে টু ব্যাংকক’-এ ‘সেইম সেইম বাট ডিফারেন্ট’ নামে একটি গান আছে। পরের বছর একই নামে মুক্তি পায় একটি জার্মান চলচ্চিত্র। এ বছর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে এই নামে মোশাররফ করিমের একটি নাটকও প্রচারিত হয়েছে।
তবে বেশির ভাগ ভাষাবিজ্ঞানীর ধারণা, বাক্যটি এসেছে থাইল্যান্ড থেকে। থাইয়েরা কথা বলার সময় এ ধরনের ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে থাকে, যেটিকে বলা হয় ‘টিংলিশ’। কারও কারও মতে, ‘সেইম সেইম বাট ডিফারেন্ট’ কথাটির উৎপত্তি ভিয়েতনাম থেকে।
সে যা–ই হোক, খেলার খবরে ‘সেইম সেইম বাট ডিফারেন্ট’ নিয়ে এত আলোচনার কারণ আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আরও স্পষ্ট করে বললে আইসিসি আয়োজিত চলমান ও সর্বশেষ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। এই দুই প্রতিযোগিতা ‘সেইম সেইম বাট ডিফারেন্ট’ নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপর পর ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও জায়গা করে নিয়েছে এই চার দল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বকাপে জায়গা করতে বিশ্বকাপজয়ীকে কোচের দায়িত্ব দিল ইতালি
দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা যে কতটা গৌরবের আর আনন্দের, সেটা একজন বিশ্বকাপ জয়ের-অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়ের চেয়ে আর কে ভালো বোঝাতে পারবেন?
আর এমন ভাবনা থেকেই এবার গানারো গাত্তুসোকে জাতীয় ফুটবল দলের কোচ নিয়োগ দিয়েছে ইতালি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা করা নিয়ে শঙ্কায় আছে। এর আগে খেলতে পারেনি ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপে। টানা তৃতীয় আসর যাতে দর্শক হয়ে না থাকতে হয়, সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী গাত্তুসোকে দায়িত্ব দিয়েছে ইতালিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এফআইজিসি।
২০২৬ বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইয়ে ইতালি খেলছে ‘আই’ গ্রুপে। পাঁচ দলের গ্রুপ থেকে শুধু শীর্ষ স্থানধারী দলই বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে পারবে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল প্লে-অফে খেলার সুযোগ পাবে। এই মুহূর্তে ‘আই’ গ্রুপে ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে নরওয়ে। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইসরায়েল। ইতালির অবস্থান তিনে, ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট।
গত সপ্তাহে নরওয়ের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পরই এফআইজিসি কোচ লুসিয়া স্পালেত্তিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে বিদায় নিশ্চিতের পরও সোমবার মল দোবার বিপক্ষে ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়ান স্পালেত্তি, ম্যাচটি ইতালি ২-০ ব্যবধানে জেতে।
নরওয়ে নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জেতায় ইতালি এখন চাপে আছে। হাতে এখনো ৬টি ম্যাচ বাকি। তবে শীর্ষস্থানে থাকতে হলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ তো জিততেই হবে, নরওয়েকেও পয়েন্ট হারাতে হবে। আর এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই ইতালি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন গাত্তুসো।
৪৭ বছর বয়সী গাত্তুসো ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইতালির জাতীয় দলে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০০৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সেরা পারফরমারদের একজন ছিলেন। সব ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন, পরে জায়গা করে নিয়েছিলেন বিশ্বকাপের অলস্টার একাদশেও। ২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের ক্লাব সিওনে খেলোয়াড় কাম কোচ হিসেবে কাজ শুরু করেন। তখন থেকে গত ১২ বছরে মোট ৯টি ক্লাবের ডাগআউটে দাঁড়িয়েছেন গাত্তুসো। যার মধ্যে আছে নিজের সাবেক ক্লাব এসি মিলান এবং ভ্যালেন্সিয়া ও মার্শেই। সর্বশেষ ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব হাইদুক স্প্লিটের দায়িত্বে ছিলেন, যা গত মাসে পারস্পরিক সমঝোতায় ছেড়ে দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোচ হিসেবে মোট ৩৭৬টি ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে গাত্তুসোর জয়ের হার ৪২.৮২ শতাংশ। জিতেছেন ১৬১টিতে, ড্র ১০৮ আর হার ১০৭-এ।
এখন দেখার বিষয়, ইতালি দলে তার সাফল্যের হার কতটা হয়, বিশেষ করে যখন দলের দরকার শতভাগ জয়। ইতালি জাতীয় দল তাদের পরবর্তী ম্যাচ খেলবে ৫ সেপ্টেম্বর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে।