ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কে অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত ও আরেকজন আহত হয়েছেন। 

রোববার রাত সোয়া ৭ টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের চুমুরদী বটতলা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

জানা যায়, নিহত যুবক মাদারীপুরের রাজৈড় থানার পশ্চিম রাজৈড় গ্রামের লোকমান ফকিরের ছেলে অদুদ ফকির (২৫)। আহত রিয়াজুল ফকির একই এলাকার বাবুল ফকিরের ছেলে। তারা দুইজন বন্ধু। 

এ বিষয়ে হাইওয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মো.

রোকিবুজ্জামান বলেন, রাজৈড় থানা থেকে দুই বন্ধু একটি মোটরসাইকেলযোগে ভাঙ্গায় ফিরছিলেন। এসময় ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের চুমুরদী বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে অজ্ঞাত কোনো গাড়ি মোটরসাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন ও আরেকজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।  

ওসি আরও জানান, আহত যুবক ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। নিহত যুবকের মরদেহ তার স্বজনের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত

এছাড়াও পড়ুন:

চিকিৎসার অভাবে শ্রমিক মৃত্যুর অভিযোগ, বন্দরে মহাসড়ক অবরোধ

অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেওয়া, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজটের সৃষ্টি হয়। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের মদনপুর অংশে তারা এ অবরোধ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারের আশ্বাসে এগারোটায় মহাসড়ক থেকে সরে যায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। 

শ্রমিকরা জানান, 'লারিস ফ্যাশন' নামে একটি রপ্তানিমুখি গার্মেন্টসের নারী শ্রমিক রিনা (৩০) অসুস্থ অবস্থায় ডিউটি করে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি অসুস্থতা বোধ করলে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। তবে কর্তৃপক্ষ তার আবেদনে কোনো সাড়া না দিয়ে কাজ করে যেতে বাধ্য করেন। পরে অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে সহকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শ্রমিক রিনা কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার দুলালের মেয়ে। অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ এ মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। 

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সড়িয়ে দেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ও পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ