Samakal:
2025-06-16@13:18:29 GMT

রোজা রেখে ডায়াবেটিস পরীক্ষা

Published: 3rd, March 2025 GMT

রোজা রেখে ডায়াবেটিস পরীক্ষা

অনেকের মাঝে বদ্ধমূল ধারণা রয়েছে যে রোজা রেখে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করলে রোজা ভেঙে যায়। শুরুতেই বলে রাখা দরকার রোজা অবস্থায় রক্ত পরীক্ষা করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
কেন চিনির মাত্রা জানতে হবে
ইনসুলিন এবং ডায়াবেটিস চিকিৎসার কিছু ওষুধ রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। রক্তে বিদ্যমান চিনির মাত্রা নির্দেশ করবে আপনার পরবর্তী করণীয়। আজকাল বাসায় বসে রোগী খুব সহজেই গ্লুকোমিটার দিয়ে এই পরীক্ষা করতে পারেন। রক্তে চিনির মাত্রা কমে গেলে শরীরে ব্যাপক বিপত্তি দেখা দিতে পারে, এমনকি রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। দীর্ঘসময় চিনির মাত্রা কমে গিয়ে স্থায়ী স্নায়ুবৈকল্য হতে পারে। মৃত্যু পর্যন্ত নেমে আসতে পারে।
রক্তে চিনির মাত্রা ৩.

৯ মি. মোল/লিটার এর নিচে নেমে গেলে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে। এছাড়া ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও ভীষণ জ টিলতা তৈরি হতে পারে।  ডায়াবেটিক কিটো এসিডোসিস পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে নিয়মিত চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা জরুরি। 
কাদের জন্য প্রয়োজন
রক্তে চিনির মাত্রা নিয়মিত পরীক্ষা করার প্রয়োজনীয়তা অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। ডায়াবেটিসের ধরন এবং চিকিৎসার জন্য সেবন করা ওষুধের মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক। যাদের রোজা রাখলে বিপদের ঝুঁকি বেশি তাদের ক্ষেত্রেও রক্তে চিনির মাত্রা পরখ করা জরুরি। যাদের রোজা রাখলে ঝুঁকির মাত্রা মৃদু তাদের দিনে একবার গ্লুকোজের মাত্রা নির্ণয় করা যথেষ্ট। যাদের ঝুঁকির মাত্রা তীব্র তাদের বারবার এটি নির্ণয় করার দরকার। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীদের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুবৈকল্যের কারণে চিনির মাত্রা নিচে নেমে গেলেও অনেক সময় তারা তা ঠাওর করতে পারেন না। সেজন্য এসব রোগীকে মাঝে মধ্যেই চিনির মাত্রা জেনে নেওয়া দরকার। যারা দীর্ঘদিন ধরে টাইপ-১ ডায়াবেটিসে ভুগছেন কিংবা যাদের কিডনি বিকল হয়ে গেছে তারা তীব্র ঝুঁকির ভেতরে অবস্থান করছেন। সুতরাং এ সমস্ত রোগীকে বারবার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা পরখ করা জরুরি।
কখন চিনির মাত্রা জানবেন
সাধারণত সাহ্‌রির সময়, সকালে, মধ্যাহ্নের পর, ইফতারের আগে, ইফতারের ২ ঘণ্টা পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা জেনে নেওয়া জরুরি। এছাড়া যে কোনো সময় যখন রোগী তার রক্তে চিনির মাত্রা কমে বা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ অনুভব করবেন তখনই তিনি তার মাত্রা জেনে নেবেন।
করণীয়:
রক্তে চিনির মাত্রা বিপদসীমার নিচে নেমে গেলে অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে রোজা ভেঙে ফেলতে হবে। চিনির মাত্রা যদি অনেক বেড়ে যায় তাহলে প্রয়োজনবোধে ইনসুলিনের পরিমাণ বাড়াতে হবে। যারা স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ইনসুলিন নিচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে হবে। রোজা রেখে ইনসুলিন এর মাত্রা বাড়ানো বা কমানোতে কোনো ক্ষতি নেই। মনে রাখা দরকার রোজা রেখে দিনের বেলায় ইনসুলিন নেওয়া যায়।
[মেডিসিন স্পেশালিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট
সিএমএইচ, বরিশাল]
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইনস ল ন পর ক ষ দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

লেবাননে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে লেবাননে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বৈরুতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

সোমবার (১৬ জুন) দূতাবাস এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে উদ্ভূত বিশেষ পরিস্থিতিতে লেবাননে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের চলাফেরায় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

রাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। লেবাননে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের জারি করা সতর্কতামূলক বার্তা অনুসরণ করার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশেষ প্রয়োজনে বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নিম্নলিখিত নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে। ফ্রন্ট ডেস্ক: ৭১২১৭১৩৯, হটলাইন: ৭০৬৩৫২৭৮ অথবা হেল্পলাইন ৮১৭৪৪২০৭।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ