আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমি ফাইনালেই মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সবশেষ বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়া-ভারত। চোখ বন্ধ করেই বলে দেওয়া যায় বিকেল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া এই মহারণে রোহিত শর্মার দল এগিয়ে।

ভারত দলের জন্য হাতের তালুর মতই মুখস্থ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট। এবারের আসরে দলটি আইসিসির সুবিধা নিয়ে একই ভেন্যুতে খেলার সুযোগ পাচ্ছে প্রতিটি ম্যাচ। ফলে কোন ধরনের ভ্রমণ করতে হচ্ছে না নীল শিবিরকে। তাছাড়া প্রতি ম্যাচ একই ধরনের উইকেটে খেলবে বলে স্কোয়াডে গড়ার সময় সেই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে ভারত। দুবাইয়ের ‘ধীর এবং নিচু’ উইকেটের কথা মাথায় রেখে রোহিত শর্মারা দলে নিয়েছেন পাঁচজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার।

সবশেষ ম্যাচে ভারত আসরের সবচেয়ে ব্যালেন্সড দল নিউ জিল্যান্ডকে রীতিমত খাবি খাইয়েছে। কার্যকরী স্পিনে পরিপূর্ণ কিউইদের সাহসীকতার সাথে সামলেছে টিম ইন্ডিয়ার মিডল অর্ডার। বল হাতেও কেন উইলিয়ামসন ও টম লাথামদেরও ঘূর্ণি বিষে কাবু করেছে নীল শিবির।

আরো পড়ুন:

ভারত-অস্ট্রেলিয়া: নকআউট পর্বে কার রেকর্ড কেমন?

ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে আগে ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া

অন্যদিকে ঠিক এই জায়গাটাতে বেশ পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অজি দলের এক অ্যাডাম জাম্পা ছাড়া নেই কোন বিশেষজ্ঞ স্পিনার। বেটিং অলরাউন্ডার ম্যাথু শর্ট ছিটকে গিয়েছেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে চোটে পড়ে। অন্যদিকে ট্রাভিস হেড এবারের আসরে হাত ঘুরাচ্ছেন না সেভাবে। এদিকে শর্টের পরিবর্তে স্কোয়াডে ঢুকেছেন কুপার কোনলি, যিনি নিজেও একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার।

অন্যদিকে ক্যাঙ্গারুরা চোট সমস্যায় আসর শুরু আগেই পড়েছে বিপাকে। স্কোয়াডে নেই দলের নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স এবং অন্য দুই মূল পেসার জশ হ্যাজেলউড ও মিচেল স্টার্ক। নেই পরীক্ষিত দুই অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিস। পরের জন অবশ্য অবসরে গিয়েছেন স্কোয়াড ঘোষণার পর। অনেকটা আনকোড়া দল নিয়েই বিরাট কোহলিদের সামনে পড়তে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।

অজিদের পক্ষে আছে কেবল সাম্প্রতিক কিছু সুখস্মৃতি। অস্ট্রেলিয়া ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে এক লক্ষ তিরিশ হাজার দর্শককে চুপ করিয়ে শিরোপা জেতেছিল। তার আগে একই বছরে রোহিত-কোহলিদের বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ জিতেছিল অজিরা। আর এই বছরই (২০২৫) বোর্ডার গাভাস্কার সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে ভারত। আইসিসি বৈশ্বিক আসরের নক আউটে ২০১১ বিশ্বাকপের পর আর ক্যাঙ্গারুদের বিপক্ষে জিততে পারেনি রোহিতরা। সুতরাং এই ম্যাচ নীলদের জন্য প্রতিষোধের।

এই দুদল একে অপরের বিপক্ষে ১৫১ ম্যাচ খেলেছে। যার মাঝে ৮৪টি জিতে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে ভারতের জয় ৫৭ ম্যাচে। ফলাফল শূন্য ছিল ১০ ম্যাচ।  চয়াম্পিয়নস ট্রফিতে আবার ৪ মোকাবেলার ২টি জিতে এগিয়ে ভারত। তবে অজিরা যে ১ ম্যাচ জিতেছে সেটা আবার ২০০৬ সালের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটা।

এদিকে দুইবায়ের কন্ডিশনে খুব একটা অনুশীলনের সুযোগ পাইনি অস্ট্রেলিয়া। তাছাড়া আসরে এটাই তাদের প্রথম ম্যাচ হতে যাচ্ছে মরুর বুকে। তাছাড়া দলগত শক্তিতেও বেশ পিছিয়ে তারা। তবে আইসিসির বৈশ্বিক আসরে যে দলটা ভারতকে থামানোর সবচেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখে সেটি অস্ট্রেলিয়া। সেটা পৃথিবীর যে কন্ডিশনেই হোক।     
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ ইন ল আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

তিন সাংবাদিকের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় ডিআরইউ’র উদ্বেগ

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য সাংবাদিক রফিকুল বাসার, মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন সংবাদকর্মীর চাকরিচ্যুতির ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে ডিআরইউ।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সংবাদকর্মীদের চাকুরিচ্যুতির ঘটনায় এ উদ্বেগ জানান।

উল্লেখ্য, চ্যানেল আই’র সাংবাদিক রফিকুল বাসার, এটিএন বাংলার মুহাম্মদ ফজলে রাব্বি ও দীপ্ত টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমানকে মঙ্গলবার কোনো রকম পূর্ব নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করে কর্তৃপক্ষ।

ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ তিন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুতির কারণ ব্যাখ্যা করার দাবি জানিয়েছেন।

এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ