আগেভাগেই দুবাই এসে বসে থাকায় কী লাভ হলো, জানালেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক
Published: 4th, March 2025 GMT
খেলবে এক দল, ভারতের কারণে দুবাইয়ে যেতে হয়েছে দুই দলকে। নিউজিল্যান্ড ভারতের কাছে হেরে যাওয়ায় সমীকরণ অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকাকে না খেলেই ফিরতে হয়েছে লাহোরে।
প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলতে থেকে গেছে অস্ট্রেলিয়া। খেলতে হবে তা নিশ্চিত না হয়ে দুবাইয়ে এসে লাভবানই হয়েছেন স্টিভ স্মিথরা। ভারতের বিপক্ষে আজ মাঠে নামার আগে প্রস্তুতিও দারুণ বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
দুবাইয়ে একটি সেমিফাইনাল হলেও দল দুটিকে আসা-যাওয়া করা লেগেছে ভারতের কারণে। গ্রুপ পর্বে ভারতের অবস্থান যেমনই হোক, রোহিত শর্মারা তাঁদের সেমিফাইনাল খেলবেন দুবাইয়ে। আর তাঁদের এক জায়গায় অবস্থান নিশ্চিত করতে গিয়েই অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা—দুই দলকেই আসতে হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা যদি সেমিফাইনালের ভেন্যু নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থান করত, সে ক্ষেত্রে দুবাইয়ে পৌঁছে সেমিফাইনালের প্রস্তুতির জন্য সময় পেত মাত্র এক দিন।
স্মিথ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা সঠিক অনুমান করেছি। এখানে থেকে কয়েক দিন প্রস্তুতি নেওয়াটা আমাদের জন্য আদর্শ মনে হয়েছে। যদি আমরা গত রাতের (ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ) ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতাম, তাহলে আজ আমাদের এখানে আসতে হতো এবং কালই ম্যাচ খেলতে হতো।’
আরও পড়ুনশেন ওয়ার্ন: বাকিটা যখন ব্যক্তিগত ০৪ মার্চ ২০২৪দুবাইয়ে এই টুর্নামেন্টের আগে অস্ট্রেলিয়া খেলেনি। মানিয়ে নেওয়ার জন্য এখানে আগে আসাটাই তাদের জন্য ভালো হয়েছে, ‘(আগে না এলে) আমরা উইকেটে অনুশীলন করার সুযোগ পেতাম না বা আইসিসি একাডেমির কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সময় পেতাম না। আর যদি আমাদের ফিরে যেতে হতো, তাহলে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে একই বিমানে ফিরতে হতো এবং সেখানে মাত্র এক দিন সময় পেতাম ম্যাচের আগে। তাই এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো ছিল।’
দক্ষিণ আফ্রিকা ফিরতে হয়েছে লাহোরে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল র জন য আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
২০ বছর পর শুধু ভেবেই নিজের নাম লিখলেন নিউরালিংক ব্যবহারকারী
২০ বছর ধরে নিজের নাম লিখতে পারেননি অড্রি ক্রুস। অবশেষে কলম বা কি–বোর্ড নয়, শুধু চিন্তা দিয়েই নাম লিখেছেন তিনি। নিউরালিংকের তৈরি মস্তিষ্কে স্থাপনযোগ্য চিপের সাহায্যে এই কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের সই করা একটি ছবি প্রকাশ করেন অড্রি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘২০ বছর পর প্রথমবার নিজের নাম লেখার চেষ্টা করলাম। এখনো অনুশীলন চলছে।’
অড্রি ক্রুসের বার্তাটি শেয়ার করে নিউরালিংকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লেখেন, ‘তিনি কেবল চিন্তা করেই কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করছেন। বেশির ভাগ মানুষ জানেনই না, এখন এমন কিছু সম্ভব।’ এ মন্তব্যের পর থেকেই বিষয়টি ঘিরে প্রযুক্তি মহলে শুরু হয় আলোচনা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পোস্টটি এক কোটির বেশি বার দেখা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করে মন্তব্য করেন, ‘আপনি এটা সত্যিই ভেবে লিখেছেন?’ কেউ কেউ লেখেন, ‘এটাই এ বছরের সবচেয়ে চমকপ্রদ ঘটনা।’
অনেকে বলছেন, প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে পক্ষাঘাতগ্রস্ত কিংবা চলাচলে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। নিউরালিংকের উদ্ভাবিত চিপ মস্তিষ্কের ভেতরকার স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত শনাক্ত করে তা ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তর করতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী হাত-পা নাড়াতে না পারলেও কেবল চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। অড্রির ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তার হারানো সক্ষমতা ফিরিয়ে এনেছে।
নিউরালিংক এখন ‘ব্লাইন্ডসাইট’ নামে একটি নতুন চিপ নিয়ে কাজ করছে, যার মাধ্যমে দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তিরা আবার দেখতে পাবেন। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি স্বাভাবিকের চেয়েও উন্নত দৃষ্টিশক্তি দিতে সক্ষম হতে পারবে। এখন পর্যন্ত প্রযুক্তিটি শুধু বানরের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যেই মানুষের ওপর এর ব্যবহার শুরু করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউরালিংক ২০৩১ সালের মধ্যে বছরে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য স্থির করেছে।
সূত্র: টেকক্লুসিভ