Samakal:
2025-05-01@09:56:17 GMT

রোজায় প্রাণবন্ত ত্বক

Published: 4th, March 2025 GMT

রোজায় প্রাণবন্ত ত্বক

শুরু হয়েছে রমজান মাস। এ মাসে ত্বকের যত্নের ব্যাপারে অনেকে উদাসীন হয়ে যান। এ কারণে কারও কারও ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ আবার কারও ত্বক তেলতেলে ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। রমজান মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি সময় ও সুযোগ বুঝে ত্বকের খেয়ালও রাখতে হবে। বিশেষ করে খাবারদাবার ও রোজকার রূপচর্চার রুটিনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে হবে। রোজায় ত্বকের যত্ন কেমন হবে– এ বিষয়ে জারা’স বিউটি লাউঞ্জের স্বত্বাধিকারী ও রূপ বিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি বলেন, ‘রোজায় ত্বকের যত্নে বিশেষ কিছু দিক খেয়াল রাখতে হবে। এখন বাইরে রোদের প্রখরতা বেড়ে গেছে। গরমের মধ্যে যেহেতু দীর্ঘ সময় পানি পান থেকে বিরত থাকতে হয়, সেহেতু ইফতারের পর থেকে খাদ্য তালিকায় পানি জাতীয় খাবার যেমন– বিভিন্ন ফলের জুস, শরবত বা পানি রাখতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে, যেন শরীরে পানির ঘাটতি কিংবা ভিটামিনের ঘাটতি দেখা না যায়। ফ্রেশ ফ্রুটস ত্বককে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে।’
ভিটামিন ‘সি’, ‘ই’ ও ‘এ’ জাতীয় খাবার গ্রহণ: ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ত্বককে তারুণ্যদীপ্ত রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন ই। ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে কোমল করে ভিটামিন এ। এ জন্য খাদ্য তালিকায় পেঁপে, কমলা, চিনাবাদাম, কাঠবাদাম, ব্রকলি, গাজর-টমেটোর সালাদ, শাকসবজি ইত্যাদি রাখুন। পাশাপাশি ইফতার ও সাহ্‌রিতে তৈলাক্ত খাবার, ভাজাপোড়া খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। 
ধাপে ধাপে ত্বকের যত্ন
মুখ পরিষ্কার: রোদের তাপ, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে ভয়ংকর প্রভাব ফেলে। এ জন্য বাইরে থেকে ফিরেই মুখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিতে হবে। তারপর ত্বক অনুযায়ী ভালো মানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। তার আগে স্ক্রাবার দিয়ে ২ মিনিট স্ক্রাব করলে ত্বক কোমল থাকবে। যদি মুখে ব্রণ কিংবা ইনফেকশন থাকে, তাহলে স্ক্রাবার ব্যবহার না করা ভালো। এ ক্ষেত্রে বেসন দিয়ে মৃদু ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। 
টুইজার: স্ক্রাবিংয়ের পরও যেসব ব্ল্যাক হেডস বা হোয়াইট হেডস থেকে যাবে, তা টুইজার দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। তবে আলতোভাবে চাপ দিতে হবে। এটি প্রতিদিন করতে হবে এমন নয়, বরং সপ্তাহে একদিন কিংবা মাসে দু’দিন করা যেতে পারে। 
টোনার: মুখের পোরসের সমস্যা দূর করে টোনার। তাই ত্বক পরিষ্কার করার পর টোনার ব্যবহার করুন। টোনার না থাকলে বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করুন। বরফ টোনারের কাজ করবে।
সিরাম: টোনার ব্যবহারের পর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো মানের সিরাম ব্যবহার করতে হবে। সিরাম ত্বকের বয়সের ছাপ, রিংকেলের সমস্যা দূর করবে। এটি ত্বককে টান টান করতে সাহায্য করে এবং পোরস মিনিমাইজ করে।
ময়েশ্চারাইজার: ফেসওয়াশ ব্যবহারের পর ত্বক অনেকটা শুষ্ক হয়ে যায়। তাই ত্বককে মসৃণ করতে মুখে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে ত্বক অনেক কোমল থাকবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করতে হবে। যেমন তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেলবেজড ময়েশ্চারাইজার, শুষ্ক ত্বকের জন্য অয়েলবেজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে।
সানস্ক্রিন: দিনের বেলা বাইরে গেলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। চুলার কাছে যাওয়ার আগেও ব্যবহার করুন। কারণ সূর্যের ক্ষতিকর বেগুনি রশ্মি, চুলার তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। 
ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন
রূপবিশেষজ্ঞ ফারহানা রুমি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন নিতে অ্যালোভেরা জেলের ওপর ভরসা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, রোজায় প্রশান্তি পেতে মুখে ও ঘাড়ে সবুজ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। কেননা, অ্যালোভেরা একটি প্রশান্তিদায়ক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকের কোষগুলোকে নিরাময় ও মেরামত করে। দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস ও অ্যালোভেরার রস মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য প্যাকটি খুব কার্যকর।
মসুরের ডাল গুঁড়া করে নিন। এর সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই ফেসপ্যাকটি স্ক্রাবার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
একটি পাকা কলার সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া, টকদই ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপকারী। v
মডেল: ইতি; ছবি: মঞ্জু আলম

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত বক ব যবহ র কর ন র ব যবহ র র র পর ত বকক ন করত

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ