হার্টের রোগীদের নিয়মিত অনেক ওষুধ খেতে হয়। এগুলোর মধ্যে ব্লাড পাতলা করার ওষুধ খেতে হয় সাধারণত দুপুরে খাবার গ্রহণের পর। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে হার্টের রোগী রোজা রাখতে পারবেন  কিনা, রোজা রাখলে তিনি কখন ওষুধ খাবেন?— এসব প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. এম এ বাকী,
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ,জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল। 

একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে এই চিকিৎসক বলেন, ‘‘অধিকাংশ হার্টের রোগী কিন্তু রোজা রাখতে পারবেন। হার্টের রোগীর কিছু কিছু ওষুধ আছে যেটা আমরা সাধারণত দুপুরে খেতে বলি, বিশেষ করে ব্লাড পাতলা করার ওষুধ দুপুরে খেতে বলা হয়।  রোজার সময় যদি আমরা সকালের ওষুধগুলো ইফতারের আগে বা পরে নিয়ে চলে যাই এবং রাত্রে যে ওষুধগুলি আমরা প্রয়োগ করি সেটা সেহেরির আগে বা পরে নিয়ে যাই তাহলে হার্টের রোগীদের কিন্তু রোজা রাখার ব্যাপারে কোনরকম অসুবিধা হবে না। তবে যে সকল হার্টের রোগীর শ্বাসকষ্ট আছে এবং যারা শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য ফুসিড জাতীয় বা ল্যাসিড জাতীয় ওষুধ খাচ্ছেন তারা জানেন এসব ওষুধ বেশি প্রসাব হয়। এ ছাড়া যারা অল্প পরিশ্রম করে হাঁপিয়ে যান অথবা দিনে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার যাদের আছে তাদের ক্ষেত্রে রোজা না রাখাই উত্তম। অন্যদিকে যাদের শ্বাসকষ্ট নাই তারা সকালের ওষুধ ইফতারে আর দুপুরের ওষুধ সেহেরিতে খেয়ে রোজা রাখতে পারেন।’’

অধ্যাপক ডা.

এম এ বাকী আরও বলেন, ‘‘বুকে ব্যথা হলে যে স্প্রে প্রয়োগ করা হয় অথবা শ্বাসকষ্টের কারণে যে ইনহেলার ব্যবহার করা হয় এটার কারণে রোজা ভাঙ্গে না।’’ 

আরো পড়ুন:

দেশে জিকা ভাইরাসের প্রথম ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত, আক্রান্ত ৫

রোজা রেখে ডায়াবেটিস রোগীরা কী করবেন, কী করবেন না

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ব সকষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

জাপানের রাস্তায় রাস্তায়  ‘হিটেড বেঞ্চ’

জাপানের টোকিও, সাপোরো এবং ওসাকার মতো বড় বড় শহরগুলোর রাস্তায় হিটেড বেঞ্চ বসানো হয়েছে। তীব্র শীতের রাতে গৃহহীন মানুষদের উষ্ণতা এবং স্বস্তি দেওয়াই এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য।এই বেঞ্চগুলো সৌরশক্তি চালিত হয়ে থাকে।

হিটেড বেঞ্জগুলো দিনের বেলায় সূর্যের আলো থেকে তাপ সংগ্রহ করে বিশেষ "ফেজ-চেঞ্জ মেটেরিয়াল" ব্যবহার করে তা সংরক্ষণ করে।  এরপর সংরক্ষিত তাপ রাতে ধীরে ধীরে নির্গত হয় এবং প্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত উষ্ণতা সরবরাহ করতে পারে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং সাশ্রয়ী। 

আরো পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

হিটেড বেঞ্চের জন্য কোনো অতিরিক্ত জ্বালানী বা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় না। এই মানবিক উদ্যোগটি জাপান সরকারের একটি সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ, যা নগর পরিকল্পনায় উদ্ভাবন এবং সামাজিক কল্যাণের এক চমৎকার উদাহরণ বলছেন দেশটির নাগরিকেরা। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ