বাড়তি ভ্রমণে বিরক্ত মিলার ফাইনালে কিউইদের সমর্থক
Published: 6th, March 2025 GMT
বুধবার (৫ মার্চ, ২০২৫) দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে ছিটকে গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিউইদের দেওয়া ৩৬৩ রানের পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে ৫০ রানে ম্যাচ হারে প্রোটিয়ারা। ম্যাচে বিধ্বংসী এক শতক হাঁকিয়েও দলকে জেতাতে ব্যর্থ হন ডেভিড মিলার। কিলার খ্যাত বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ম্যাচ হারের পেছনে সরাসরি দায়ী করলেন অতিরিক্ত ও অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণকে। বিরক্ত মিলার এটাও জানিয়ে দিলেন; যাদের বিপক্ষে হেরে শেষ চার থেকে ছিটকে পড়া, সেই কিউইদের ফাইনালে সমর্থন দিবেন।
নিরাপত্তার অজুহাতে ভারত তাদের সব ম্যাচ খেলছে দুবাইয়ে। আইসিসি থেকে বাড়তি সুবিধা পাওয়া দলটি ফাইনালে ওঠায় দুবাইয়েই হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। আসরের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ভারত-নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয়েছিল। সমীকরণের মারপ্যাঁচে এই ম্যাচের আগে নির্ধারিত হয়নি সেমিফাইনালে কার বিপক্ষে কোন দল খেলবে। তাই গত ১ মার্চ দুবাইয়ের প্লেন ধরতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে।
অস্ট্রেলিয়াকে অনুসরণ করে পরদিন দক্ষিণ আফ্রিকাও একই গন্তব্যে পৌঁছায়। কারণ, ভারতের প্রতিপক্ষ হলে তাদেরও দুবাইয়েই খেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত অজিদের প্রতিপক্ষে হিসেবে পায় রোজিত শর্মার দল। তাই কোন কাজে ক্রিকেটিয় কর্মসূচিতে অংশগ্রণ না করেই প্রোটিয়াদের আবারও দুবাই থেকে ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানে।
এই ঘটনাটা স্বাভাবিকভাবেই নিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ভদ্রতা দেখিয়ে সেমি ফাইনালের আগে কিছুই বলেনি তারা। তবে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারার পর এই ব্যাপের আর চুপ থাকতে পারেননি মিলার। এই ম্যাচে ৬৭ বলে অপরাজিত ১০০ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলা মিলার বলেন, “যদিও স্রেফ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের ফ্লাইট, তার পরও তো সেটা আমাদেরকে করতে হয়েছে। একটি ম্যাচ শেষে ভোরে আমাদেরকে রওনা দিতে হয়েছে। বিকেল ৪টায় আমরা দুবাইয়ে গিয়েছি। পরদিন সকাল সাড়ে সাতটায় আবার ফিরে আসতে হয়েছে। এসব কখনোই ভালো লাগার মতো কিছু নয়। এমন নয় যে ৫ ঘণ্টার ফ্লাইট ছিল। রিকভারির যথেষ্ট সময় ছিল। তবে অবশ্যই পরিস্থিতি আদর্শ নয়।”
আরো পড়ুন:
ভারতের বিপক্ষেও জিততে চাই: স্যান্টনার
১৬ বছর পর ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড
যেহেতু দল হিসেবে প্রোটিয়ারা অসম্ভব পেশাদার, তাই সেমিফাইনালে ৫০ রানে হারের পছনে ভ্রমণকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করালেন না মিলার, “টপ অর্ডার থেকে ভালো কিছু অবদান ছিল। গোটা দুই ফিফটি ছিল টপ অর্ডারে। বেশ শক্ত ভিত পেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, মাঝের ওভারগুলোয় আমরা দুটি উইকেট বেশি হারিয় ফেলি। দিনশেষে, এটা দলীয় প্রচেষ্টা। উইকেট ভালো হলেও, ৩৬০ রান তাড়া করা সহজ নয় কখনোই। রাতে শিশিরও পড়েনি।”
এ্গকা কোন ভনিতার আশ্রয় না নিয়ে মিলার স্পষ্ট করেই বলেছেন, ফাইনালে তিনি কিউইদের সমর্থন দেবেন। মিলারের ভাষায়, ‘আমি সৎ উত্তরই দেব, আমি নিউজিল্যান্ডকেই সমর্থন দেব। তবে দুটি দলই অবিশ্বাস্যরকমের ভালো।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক উইদ র ফ ইন ল
এছাড়াও পড়ুন:
এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালাচ্ছে হ্যাকাররা
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে ‘গোস্ট কল’ ও ‘গোস্ট হায়ার’ প্রচারণার মাধ্যমে সাইবার হামলা চালাচ্ছে ব্লু–নরফ নামের একদল হ্যাকার। ল্যাজারাস হ্যাকার দলের শাখা হিসেবে পরিচিত হ্যাকারদের দলটি ভারত, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ওয়েব৩ ও ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রতিষ্ঠানগুলোকে লক্ষ্য করে এ ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোস্ট কল ও গোস্ট হায়ার প্রচারণা মূলত ম্যাকওএস ও উইন্ডোজ ব্যবহারকারী ব্লকচেইন ডেভেলপার ও প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়। এ ধরনের সাইবার হামলায় হ্যাকাররা টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে নিজেদের বিনিয়োগকারী পরিচয়ে ভুয়া সাইটে অনলাইন বৈঠকের আমন্ত্রণ জানায়। বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য কেউ ‘আপডেট’ অপশনে ক্লিক করলেই কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এরপর হ্যাকাররা দূর থেকেই তথ্য চুরির পাশাপাশি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে।
ক্যাসপারস্কি জিআরইএটির নিরাপত্তা গবেষক সোজুন রিউ জানান, আক্রমণকারীরা আগের ভুক্তভোগীদের ভিডিও ভুয়া অনলাইন বৈঠকে চালিয়ে দেখায়, যেন ভিডিও কলটি বাস্তব মনে হয়। এভাবেই তারা বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিভ্রান্ত করে। এই প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত তথ্য শুধু ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধেই নয়, পরবর্তী সময়ে সাপ্লাই চেইন আক্রমণেও ব্যবহার করা হয়। আক্রমণকারীরা এভাবে বিশ্বাসের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আরও বেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীর সিস্টেমে প্রবেশাধিকার পাওয়ার চেষ্টা করে।
এ ধরনের আক্রমণ থেকে সুরক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন সহযোগীদের তথ্য যাচাই, অপরিচিত বা যাচাইহীন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি সব সময় নিরাপদ যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন ক্যাসপারস্কির গবেষকেরা। একই সঙ্গে সার্বক্ষণিক সুরক্ষা, ইডিআর ও এক্সডিআর সক্ষমতার জন্য ক্যাসপারস্কি নেক্সট ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন তাঁরা।