ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে পাসের হার ৯.৮৫ শতাংশ, ভর্তি ২৪ মার্চ
Published: 6th, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘খ’ ইউনিটভুক্ত কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রকাশিত হয়েছে।
এ ইউনিটের পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১১ হাজার ৩১০ জন শিক্ষার্থী, যা শতকরা হার ৯.৮৫ শতাংশ। আগামী ২৪ মার্চ থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত সোয়া ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ সেশনের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন ইউনিট অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পরীক্ষায় আবেদনকারীর সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার ৪৯৯ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন ১ লাখ ১৪ হাজার ৯০৪ জন শিক্ষার্থী। ফলাফল বাতিল করা হয়েছে ১০৮ জন শিক্ষার্থীর।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, পরীক্ষায় পাস করেছেন ১১ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে মানবিকে ৫ হাজার ৭১৪ জন, বিজ্ঞানে ৪ হাজার ৮৫৭ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ৭৩৯ জন। শতকরা পাসের হার ৯.
‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের উচ্চমাধমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন।
এছাড়া আবেদনকারীরা গ্রামীণ, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক অথবা টেলিটক নম্বর থেকে DUALSroll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ তার ফলাফল জানতে পারবে।
জনসংযোগ দপ্তরের ওই বিজ্ঞপ্তিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তি নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তিন দফা কার্যক্রম সম্পন্নের পর শিক্ষার্থীরা তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সমাপ্ত করতে পারবেন।
পাস করা ছাত্র/ছাত্রীদের আগামী ২৪ মার্চ বিকেল ৩টা থেকে ১৬ এপ্রিল বিকেল ৩টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ফরম ও বিষয়ের পছন্দক্রম ফরম পূরণ করতে হবে। বিভিন্ন কোটায় আবেদনকারীদের আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কোটার ফরম কলা অনুষদের ডিন অফিস থেকে সংগ্রহ করতে হবে এবং যথাযথভাবে পূরণ করে ওই সময়ের মধ্যে ডিন অফিসে জমা দিতে হবে।
ফলাফল নিরীক্ষণের জন্য ফি প্রদান সাপেক্ষে আগামী ৯ মার্চ থেকে ১৩ মার্চ পর্যন্ত কলা অনুষদের ডিন অফিসে আবেদন করা যাবে।
গত ২৫ জানুয়ারি ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিটে মোট আসন সংখ্যা ২ হাজার ৯৩৪টি। এর মধ্যে মানবিকে ১ হাজার ৭০৭, বিজ্ঞানে ৯৪৪ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ২৮৩টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ য পর ক ষ র ফল ফল ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
বারসিকের গবেষণা: রাজশাহীর ৯৯ ভাগ দোকানেই মিলছে নিষিদ্ধ কীটনাশক
রাজশাহীর ৯৯ ভাগ কীটনাশকের দোকানেই পাওয়া যাচ্ছে নিষিদ্ধ কীটনাশক ও বালাইনাশক। সরকার নিষিদ্ধ করে রাখলেও নানা নামে এসব কীটনাশক বাজারজাত করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ, প্রকৃতি ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। শতকরা ৯৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ ব্যবহারকারীই জানেন না এগুলো নিষিদ্ধ এবং বিপজ্জনক।
চলতি বছর রাজশাহীতে ‘জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ক মাঠপর্যায়ে অনুসন্ধানমূলক সমীক্ষা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র উঠে এসেছে। সমীক্ষাটি করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক।
বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে রাজশাহী নগরের একটি হোটেলের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজশাহীর আটটি উপজেলার ১৯টি কৃষিপ্রধান গ্রামাঞ্চলে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ, ভুক্তভোগীদের কেস স্টাডি, স্থানীয় কীটনাশক ডিলার, দোকানদার, পরিবেশক এবং উপজেলা পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে সমীক্ষাটি করা হয়েছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে শতকরা ৬৮ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আর কীটনাশকের ৯৯ ভাগ দোকানেই দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন নামে। এসব নাম দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নিষিদ্ধ, বোতলের গায়ে নিচের দিকে জেনেরিক নাম খুব ছোট করে লেখা থাকে।
বাংলাদেশসহ আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ যেসব কীটনাশক এখনো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো হলো- জিরো হার্ব ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), ফুরাডান ৫জি (কার্বোরাইল), এরোক্সান ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট), গ্যাস ট্যাবলেট (অ্যালুমিনিয়াম ফসফাইড), কার্বোফোরান ৩ জিএসিআই (কার্বোফোরান), ইঁদুর মারা বিষ (বডিফ্যাকোয়াম) ও তালাফ ২০ এসএল (প্যারাকোয়াট)। এই প্যারাকোয়াট বা ঘাস মারা বিষ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেকে এগুলো আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে পান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে কিডনি নষ্ট হয়ে তারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাজারে অহরহ এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সরকারের কোনো তদারকি নেই। এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ব্যবহার করে কৃষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। নিষিদ্ধ কীটনাশক কীভাবে বাজারে বিক্রি হয়, কৃষি বিভাগের দায়িত্ব কী সে বিষয়েও সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রশ্ন তোলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নিষিদ্ধ কিছু কীটনাশকও আনা হয়। এগুলো যে দোকান থেকে কেনা হয়েছে তার রশিদও দেখানো হয়। এসব দেখিয়ে বারসিকের নির্বাহী পরিচালক পাভেল পার্থ বলেন, “এগুলো তো বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আমরা কিনেছি। রশিদও আছে। এগুলো নিষিদ্ধ। আমরা এগুলো হাজির করতে বাধ্য হয়েছি। এই গবেষণা একটি ফৌজদারি অপরাধকে খুঁজে পেয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে নিষিদ্ধ কীটনাশকের ব্যবহার কঠোরভাবে বন্ধ করা, কীটনাশক আইন ও বিধি প্রয়োগ করা, কীটনাশক সম্পর্কিত স্বাস্থ্য তথ্য নিবন্ধন করা, কীটনাশকের ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠন করার সুপারিশ করা হয়।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ