বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচকে সামনে রেখে অবসর ভেঙে ফিরলেন ছেত্রী
Published: 6th, March 2025 GMT
মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবল কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী।
চলতি মাস ফিফা উইন্ডোতে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে ভারত। তার একটি মালদ্বীপের বিপক্ষে, অপরটি বাংলাদেশের। এই দুটি ম্যাচে তিনি খেলার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ, ২০২৫) সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ‘এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে’ ছেত্রীর অবসর ভেঙে ফুটবলে ফেরার বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং তাকে ভারত স্কোয়াডে যুক্ত করা হয়েছে।
ফুটবল কর্তৃপক্ষ সামাজিক মাধ্যমে জানায়, ‘‘সুনীল ছেত্রী ফিরছেন। ভারতীয় ফুটবলের অধিনায়ক, নেতা এবং কিংবদন্তি আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরে আসবেন ফিফা মার্চ উইন্ডোর মাধ্যমে।’’
আরো পড়ুন:
এক লাল কার্ডে ৯ মাস নিষিদ্ধ কোচ
আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার
৪০ বছর বয়সী ছেত্রী ১৯ মার্চ মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরবেন। এরপর ২৫ মার্চ বাংলাদেশে বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলবেন। দুইটি ম্যাচই শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৪ সালের মে মাসে অবসরের ঘোষণা দিলেও ছেত্রী তার মত বদলে আবারো আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তার এবং ২০০৭, ২০০৯, ২০১২ ও ২০২৩ সালে সাফ কাপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শিরোপায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি বেঙ্গালুরু এফসির হয়ে আইএসএলে খেলছেন।
মালদ্বীপ ও বাংলাদেশের বিপক্ষের ম্যাচে ভারতের স্কোয়াড:
গোলকিপার: অমরিন্দর সিং, গুরমিত সিং ও বিশাল কাইথ।
ডিফেন্ডার: আশীষ রাই, বরিস সিং থাঙ্গজাম, চিংলেনসানা সিং কনশাম, হ্মিংথানমাওইয়া, মেহতাব সিং, রাহুল ভেক, রোশন সিং, সন্দেশ ঝিঙ্গান ও সুবাশীষ বোস।
মিডফিল্ডার: আশিক কুরুনিয়ান, আয়ুশ দেব ছেত্রী, ব্র্যান্ডন ফেরান্দেজ, ব্রিসন ফেরান্দেজ, জ্যাকসন সিং থৌনাওজাম, লালেংমাওইয়া, লিস্টন কলাকো, মহেশ সিং নওরেম ও সুরেশ সিং ওয়াংজাম।
ফরোয়ার্ড: সুনীল ছেত্রী, ফারুখ চৌধুরী, ইরফান ইয়াদওয়াদ, লালিয়ানজুয়ালা ছাঙতে ও মানবীর সিং।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।
বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।
যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।
ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।