মাদক সেবন দেখে ফেলায় নয়, পরকীয়ার জেরে শহিদুল ইসলামের (৬০) দুই চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যশোরের পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।

এর আগে, গত রাতে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাদ্দাম পুলিশকে জানিয়েছেন, পরকীয়ার জেরে তিনি শহিদুলের চোখ উপড়ে ফেলেছেন। শহিদুল-সাদ্দাম সম্পর্কে খালু-ভাগ্নে।

সংবাদ সম্মেলনে নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘ট্রাকচালক সাদ্দাম হোসেনের দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার খালু শহিদুল ইসলামের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। প্রায় দুই মাস আগে সাদ্দাম তার প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেন। সেই সময় খালুর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়টি সাদ্দামকে জানান তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী। এতে ক্ষিপ্ত হন তিনি।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে বকচর করম তেল পাম্পের সামনে শহিদুল ইসলামকে একা পেয়ে দুই চোখ আঙুল দিয়ে উপড়ে ফেলেন সাদ্দাম। এ ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের তিনটি দল অভিযানে নামে। বৃহস্পতিবার রাতে যশোর শহরের পালবাড়ি এলাকা থেকে অভিযুক্ত সাদ্দামকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’’

এর আগে আহতের স্ত্রী হাসনা বেগম অভিযোগ করেছিলেন, মাদক সেবন দেখে ফেলায় শহিদুলের দুই চোখ উপড়ে ফেলেছেন তার বোনের ছেলে সাদ্দাম।

ঢাকা/রিটন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরক য়

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ