ফ‍্যাসিবাদ পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার আগেই অভ‍্যুত্থানকারীদের পরস্পর দ্বন্দ্ব–সংঘাত সবাইকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু)। তিনি বলেন, ফ‍্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, একসঙ্গে কারাগারে কষ্ট ভাগাভাগি করেছেন, ফ‍্যাসিবাদ পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার আগেই সেই অভ‍্যুত্থানকারীদের পরস্পর দ্বন্দ্ব–সংঘাত সবাইকে হতাশ করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুরে আজ শুক্রবার এবি পার্টির রংপুর বিভাগীয় সম্মেলনে মজিবুর রহমান এ কথা বলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্য রাখার আহ্বান জানান। সামনের দিনগুলোতে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে দলীয় নেতা–কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।

রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বাছেত মারজানের সভাপতিত্বে এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক সানি।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরীর আহ্বায়ক আবদুর রউফ, কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা আহ্বায়ক মুহা.

শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ