ফ‍্যাসিবাদ পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার আগেই অভ‍্যুত্থানকারীদের পরস্পর দ্বন্দ্ব–সংঘাত সবাইকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান (মঞ্জু)। তিনি বলেন, ফ‍্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যাঁরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, একসঙ্গে কারাগারে কষ্ট ভাগাভাগি করেছেন, ফ‍্যাসিবাদ পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার আগেই সেই অভ‍্যুত্থানকারীদের পরস্পর দ্বন্দ্ব–সংঘাত সবাইকে হতাশ করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক।

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুরে আজ শুক্রবার এবি পার্টির রংপুর বিভাগীয় সম্মেলনে মজিবুর রহমান এ কথা বলেন।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্য রাখার আহ্বান জানান। সামনের দিনগুলোতে যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে দলীয় নেতা–কর্মীদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।

রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল বাছেত মারজানের সভাপতিত্বে এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক সানি।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও রংপুর মহানগরীর আহ্বায়ক আবদুর রউফ, কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা আহ্বায়ক মুহা.

শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কারও ওপর আক্রমণ হলে যৌথভাবে জবাব দেবে পাকিস্তান ও সৌদি আরব

পাকিস্তান ও সৌদি আরব ‘কৌশলগত যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তি’ সই করেছে। বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ চুক্তি সই করেন। চুক্তি অনুযায়ী, কোনো একটি দেশ আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে রিয়াদ ও ইসলামাবাদ।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রিয়াদের ইয়ামামা প্রাসাদে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠক হয়। সেখানে দুই নেতা চুক্তিতে সই করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ জোরদার করার লক্ষ্যে দুই দেশের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও নিজেদের সুরক্ষিত করা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি অর্জনের জন্য উভয় দেশের অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটেছে এই চুক্তিতে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ ও রিয়াদের মধ্যে ‘প্রায় আট দশকের ঐতিহাসিক অংশীদারত্ব...ভ্রাতৃত্ব ও ইসলামি সংহতির বন্ধন...অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থ এবং ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সহযোগিতার’ ভিত্তিতে এ চুক্তি সই করা হয়েছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, দু্ই পক্ষ ও তাদের প্রতিনিধিদল উভয় দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও কৌশলগত সম্পর্ক পর্যালোচনা করেছে। একই সঙ্গে দুই পক্ষের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে।

এর আগে সৌদি আরব সফররত শাহবাজ শরিফ ইয়ামামা প্রাসাদে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান সৌদি যুবরাজ। এ সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে সৌদি আরবের যুবরাজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ