রাজনীতিক কূটনৈতিকসহ নাগরিক সমাজের সম্মানে চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া অংশ নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন দলের নেতারা। 

শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরি। তা না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন দাবি করছি। এতে কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠিত হবে। নির্বাচনহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ হোক চাই না। সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন করতে হবে।

ইফতারে খেলাফত মজলিসের আমির আব্দুল বাসেত আজাদ, মহাসচিব ড.

আহমাদ আব্দুল কাদের, এবি পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালাল উদ্দিন, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান প্রমুখ অংশ নেন। আরও ছিলেন সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, চিন, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, আফগানিস্তান, ইরান,ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকরা। 

জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের দীর্ঘ বিরোধ থাকলেও গত ২১ জানুয়ারি বরিশাল গিয়ে রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করেন শফিকুর রহমান। দুই নেতা সেদিন জানিয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোট ‘এক বাক্সে’ আনার প্রচেষ্টা চলছে। 

গত ২৬ জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকে ১০ দফায় সই করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ