চরমোনাই পীরের ইফতারে জামায়াত-বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা
Published: 7th, March 2025 GMT
রাজনীতিক কূটনৈতিকসহ নাগরিক সমাজের সম্মানে চরমোনাইয়ের পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলনের ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। এছাড়া অংশ নিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।
শুক্রবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ, দুদক ও বিচার বিভাগের সংস্কার জরুরি। তা না হলে আগের তিমিরে ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন দাবি করছি। এতে কার্যকর ও যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ গঠিত হবে। নির্বাচনহীন পরিস্থিতি দীর্ঘ হোক চাই না। সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন করতে হবে।
ইফতারে খেলাফত মজলিসের আমির আব্দুল বাসেত আজাদ, মহাসচিব ড.
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের দীর্ঘ বিরোধ থাকলেও গত ২১ জানুয়ারি বরিশাল গিয়ে রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করেন শফিকুর রহমান। দুই নেতা সেদিন জানিয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর ভোট ‘এক বাক্সে’ আনার প্রচেষ্টা চলছে।
গত ২৬ জানুয়ারি ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকে ১০ দফায় সই করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম ইফত র
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল