শ্রীপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, অভিযুক্ত তরুণ আটক
Published: 8th, March 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় গতকাল শনিবার তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে সে দৃশ্য নিজের স্মার্টফোনে ধারণ করেন এক তরুণ। পরে মো. আরমান মিয়া (২৭) নামের ওই তরুণকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় জনতা।
অভিযুক্ত আরমান মিয়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের মো. শামসুল হকের ছেলে। আর নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর (৮) বাড়ি উপজেলার বরমী ইউনিয়নে।
এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের শালবনের ভেতর থেকে আরমান মিয়াসহ ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। শিশুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিকে ওই তরুণকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় জনতা। ওই তরুণ ইয়াবা সেবন করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
কয়েক বছর ধরে ঘটনাস্থলের পাশে মাঝেরটেক এলাকায় বন বিভাগের জমিতে কুঁড়েঘর বানিয়ে বসবাস করছেন আরমান। সেখানে থেকে বিভিন্ন জায়গায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক কাজ করেন তিনি।
নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা বলেন, দুপুর থেকেই তাঁর মেয়েকে বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় বনের ভেতর চিৎকারের শব্দ শুনে সেদিকে এগিয়ে যান স্থানীয় পথচারীরা। পরে বনের ভেতর নির্জন স্থানে হাতেনাতে আটক করা হয় আরমানকে। আটকের পর শিশুটি জানায়, তাকে ধর্ষণ করে সে দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছে আরমান। পরে আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ধারণ করে তাঁর তিন বন্ধুর মুঠোফোনে পাঠিয়েছেন। এরপর তাঁকে গণধোলাই দেওয়া হয়। পরে পুলিশে খবর দিয়ে আরমানকে তাদের জিম্মায় দেওয়া হয়।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম
ভারতের উত্তর প্রদেশের গোরখপুরে এক তরুণ তাঁর বোনকে খুন করে লাশ একটি বস্তায় ভরে রেখেছিলেন। ওই বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাঁকে ভেতরে কী আছে জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘এর মধ্যে গম আছে।’
উত্তর প্রদেশের ৩২ বছর বয়সী রাম আশিস নিষাদ তাঁর ১৯ বছর বয়সী বোন নীলমকে খুন করেন।
ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। আশিসের বাবা চিংকু নিষাদ সেখানে সরকারের জমি অধিগ্রহণ বাবদ ছয় লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন।
পুলিশ জানায়, ওই ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া অর্থের ভাগাভাগি নিয়েই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই রুপি বোনের বিয়েতে খরচ করা হবে জেনে রাম আশিস ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাম আশিস একটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে বোন নীলমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর নীলমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভেঙে ফেলে দেহটি একটি বস্তায় ভরেন। পরে বাইকের সঙ্গে বেঁধে তিনি গোরখপুর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে কুশীনগরের একটি আখখেতে বস্তাটি ফেলে আসেন।
সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে অভিযুক্ত
সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজে রাম আশিসকে একটি বস্তা নিয়ে যেতে দেখা যায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই বস্তার মধ্যে ছিল তাঁর বোনের লাশ। কুশীনগর যাওয়ার পথে পুলিশ তাঁকে থামিয়ে বস্তায় কী আছে জানতে চেয়েছিল।
রাম আশিস পুলিশকে জানান, বস্তায় গম আছে। পরে আবার তিনি কুশীনগরের দিকে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান। সেখানে তিনি আখখেতে নীলমের লাশ ফেলে দেন।
এরপর নীলমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁর বাবা প্রথমে ধরে নেন, মেয়ে ছটপূজার জন্য কোথাও গেছে। তবে প্রতিবেশীরা যখন জানান, সোমবার রাম আশিস একটি বস্তা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তখন পরিবারের সন্দেহ হয় এবং ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ প্রথমে নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে ও তদন্ত শুরু করে। গত মঙ্গলবার নীলমের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, রাম আশিসই নীলমকে খুন করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় রাম আশিস প্রথমে কিছু না জানার ভান করেন। তবে পুলিশের টানা জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পরে বোনকে খুনের কথা স্বীকার করেন। গত বুধবার রাতে আখখেত থেকে নীলমের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
আগামী জানুয়ারি মাসেই নীলমের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সবকিছু ঠিকঠাকও হয়ে গিয়েছিল।
রাম আশিসের বাবা চিংকু অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই ছয় লাখ রুপি মেয়ের বিয়েতে খরচ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এ কারণে রাম ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। কারণ, তিনি জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া ওই রুপির ভাগ চেয়েছিলেন।