ঈদে ফিউশনধর্মী পোশাক এনেছে ‘খাদি বাই নুভিয়া’
Published: 9th, March 2025 GMT
শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজের জমিনে ফিউশনধর্মী মোটিফ ফুটিয়ে তুলতে পছন্দ করেন ‘খাদি বাই নুভিয়ার’ কর্ণধার ফাতেমা তুজ জোহরা নুভিয়া। ঈদ কালেকশন-২০২৫-এও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবারেও খাদি’র ঈদ কালেকশনে থাকছে শাড়ি এবং সালোয়ার কামিজ। নুভিয়া সাধারণত পোশাকের জমিন রাঙিয়ে তুলতে পছন্দ করেন। নিজের তৈরি পোশাকে ক্লায়েন্টদেরও রাঙিয়ে তুলতে চান। নুভিয়া রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘উৎসব সামনে রেখে রঙিন-রঙিন শাড়ি ও সালোয়ার কামিজ কালেকশনে রেখেছে খাদি বাই নুভিয়াতে। এর পাশাপাশি গরমে আরামের কথা চিন্তা করে কিছু স্মুদি কালার নিয়েও কাজ করেছি।’’
ফ্লোরাল, লোকজ ও পপ–আর্ট মোটিফের নান্দনিক উপস্থাপনার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ‘খাদি বাই নুভিয়া’। নামে খাদি হলেও শুধু খাদি নিয়ে কাজ করছেন না নুভিয়া। শুরুটা হয়েছিল খাদি কাপড় নিয়েই। খাদির পোশাক, আর বৈচিত্রধর্মী নকশা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে। এরপর থেকে ক্রেতারা খাদি কাপড়ের পাশাপাশি অন্য ফেব্রিকের পোশাকের প্রতি চাহিদা দেখান। ক্রেতাদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে খাদির পাশাপাশি সুতি ও লিলেন নিয়ে কাজ করা শুরু করেন নুভিয়া। এসব ফেব্রিকের পাশাপাশি এই ঈদে বিশেষ প্রাধান্য পাচ্ছে সিল্ক এবং মসলিন। খাদি বাই নুভিয়ার ঈদ কালেকশনের পোশাকে স্কিন প্রিন্ট থাকছে। এ ছাড়াও থাকছে ডিজেল প্রিন্ট।
নুভিয়া বলেন, ‘‘ডিজেল প্রিন্টের নকশা সুতি কাপড়ের জমিনে ফুটিয়ে তোলা কঠিন। ডিজেল প্রিন্ট ফুটিয়ে তোলার জন্য সিল্ক এবং মসলিন কাপড় বেছে নিয়েছি।
আরো পড়ুন:
হাফসা মোসলেমের ঈদের গহনায় আভিজাত্য
নওশাবার ঈদ কালেকশন
ফোক আর ঐতিহ্যগত যেসব জিনিসপত্র আছে এবং বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য, ফুল, পাখি, লতা, পাতা এসব মোটিফ প্রিন্ট করে আধুনিক উপায়ে পোশাকের জমিনে ফুটিয়ে তুলেছেন।
খাদি বাই নুভিয়ার কুর্তি, সালোয়ার কামিদের দরদাম শুরু হয় ১০০০ টাকা থেকে। শাড়িগুলোর দাম ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
ঈদের দিন কেমন পোশাক পরবেন এই ডিজাইনার, সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিল রাইজিংবিডি। নুভিয়া বলেন, ‘‘আরামের কথা চিন্তা করে ঈদের দিন সকালে আমি সুতি ডেস পরবো। বিকালে একটি ফেস্টিভ লুক আনার জন্য মসলিন বা সিল্কের রঙিন কাপড় পরবো।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদ প শ ক ঈদ ক ল কশন
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’