ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি বা আইফা অ্যাওয়ার্ড। ভারতের জয়পুরে বসেছে এবারের আসর। গতকাল ছিল প্রথম দিন। প্রথম রাতে অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ডস। ওটিটি ফিল্ম, সিরিজ ও অভিনয়শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয়।

আইফা ডিজিটালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন কৃতি স্যানন ও সেরা অভিনেতার ট্রফি জিতেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। চলুন জেনে নিই কারা হলেন এবারের আইফা ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী— 

সেরা সিনেমা: অমর সিং চমকিলা
সেরা পরিচালক: ইমতিয়াজ আলী (অমর সিং চমকিলা)     

আরো পড়ুন:

তিক্ততা ভুলে শহিদকে জড়িয়ে ধরলেন কারিনা (ভিডিও)

ছাবা ঝড়: ২৩ দিনে আয় ১ হাজার কোটির দুয়ারে

সেরা অভিনেত্রী (চলচ্চিত্র): কৃতি স্যানন (দো পাত্তি)
সেরা অভিনেতা (চলচ্চিত্র): বিক্রান্ত ম্যাসি (সেক্টর ৩৬) 

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (চলচ্চিত্র): অনূপ্রিয়া গোয়েনকা (বার্লিন)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (চলচ্চিত্র): দীপক ডোব্রিয়াল (সেক্টর ৩৬)
সেরা মৌলিক গল্প (চলচ্চিত্র): কনিকা ঢিলো (দো পাত্তি) 

সেরা সিরিজ: পঞ্চায়েত থ্রি
সেরা অভিনেত্রী (সিরিজ): শ্রেয়া চৌধুরী (বন্দিশ বান্ডিটস)
সেরা অভিনেতা (সিরিজ): জিতেন্দ্র কুমার (পঞ্চায়েত থ্রি)
সেরা পরিচালক (সিরিজ): দীপক কুমার মিশ্র (পঞ্চায়েত থ্রি) 

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (সিরিজ): সানজিদা শেখ (হীরামন্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (সিরিজ): ফয়সাল মালিক (পঞ্চায়েত থ্রি)
সেরা মৌলিক গল্প (সিরিজ): কোটা ফ্যাক্টরি থ্রি 

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ