ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যাকাডেমি বা আইফা অ্যাওয়ার্ড। ভারতের জয়পুরে বসেছে এবারের আসর। গতকাল ছিল প্রথম দিন। প্রথম রাতে অনুষ্ঠিত হয় ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ডস। ওটিটি ফিল্ম, সিরিজ ও অভিনয়শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয়।

আইফা ডিজিটালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন কৃতি স্যানন ও সেরা অভিনেতার ট্রফি জিতেছেন বিক্রান্ত ম্যাসি। চলুন জেনে নিই কারা হলেন এবারের আইফা ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী— 

সেরা সিনেমা: অমর সিং চমকিলা
সেরা পরিচালক: ইমতিয়াজ আলী (অমর সিং চমকিলা)     

আরো পড়ুন:

তিক্ততা ভুলে শহিদকে জড়িয়ে ধরলেন কারিনা (ভিডিও)

ছাবা ঝড়: ২৩ দিনে আয় ১ হাজার কোটির দুয়ারে

সেরা অভিনেত্রী (চলচ্চিত্র): কৃতি স্যানন (দো পাত্তি)
সেরা অভিনেতা (চলচ্চিত্র): বিক্রান্ত ম্যাসি (সেক্টর ৩৬) 

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (চলচ্চিত্র): অনূপ্রিয়া গোয়েনকা (বার্লিন)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (চলচ্চিত্র): দীপক ডোব্রিয়াল (সেক্টর ৩৬)
সেরা মৌলিক গল্প (চলচ্চিত্র): কনিকা ঢিলো (দো পাত্তি) 

সেরা সিরিজ: পঞ্চায়েত থ্রি
সেরা অভিনেত্রী (সিরিজ): শ্রেয়া চৌধুরী (বন্দিশ বান্ডিটস)
সেরা অভিনেতা (সিরিজ): জিতেন্দ্র কুমার (পঞ্চায়েত থ্রি)
সেরা পরিচালক (সিরিজ): দীপক কুমার মিশ্র (পঞ্চায়েত থ্রি) 

সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী (সিরিজ): সানজিদা শেখ (হীরামন্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার)
সেরা পার্শ্ব অভিনেতা (সিরিজ): ফয়সাল মালিক (পঞ্চায়েত থ্রি)
সেরা মৌলিক গল্প (সিরিজ): কোটা ফ্যাক্টরি থ্রি 

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টিভি

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার

দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।

দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্‌রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’

তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’

আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫

মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা

সম্পর্কিত নিবন্ধ