‘১৫ রোজার মধ্যে সড়কের সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে’
Published: 9th, March 2025 GMT
ঈদুল ফিতরে দেড় কোটি মানুষ বাড়ি যাবেন বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, ‘‘এই যাত্রার আগে রাস্তা সংস্কার করার একটা বিষয় থাকে। আমরা সেই জায়গাগুলো চিহ্নিত করেছি। আগামী ১৫ রোজার মধ্যে সব রাস্তার সংস্কার কাজ শেষ করতে হবে।’’
রবিবার (৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘‘ঈদের সময় গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, মহাখালী, গাবতলী এবং সায়েদাবাদ টার্মিনাল এলাকায় সিসিটিভি বসানো হবে এবং সেগুলো মনিটরিং করা হবে।’’
এবার ঈদে যানজট কম হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘অনেক ছুটি আছে মানুষ ধাপে ধাপে যেতে পারবে। এছাড়া মোটরসাইকেল, নসিমন, করিমন এগুলো মহাসড়কের বাইরে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাস্তার পাশে হাট-বাজার ঈদের আগে যেন না বসে সে জিনিসগুলো খেয়াল রাখতে হবে। ঢাকা বাইপাস এর কাজ চলছে এটা ঈদের আগে সাময়িকভাবে খুলে দেওয়া হবে যাতে যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে। বিআরটি করিডোর ঈদের আগে একমুখী চলাচল করে দেওয়া হবে।’’
সংবাদ সম্মেলনে মহাসড়কে ডাকাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘‘হাইওয়ে পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তারা মহাসড়কে টহল দিবে যাতে ডাকাতের মতো ঘটনা না ঘটে এবং রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্য থাকবে।’’
ঈদের শেষের দিকে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হয় এমন প্রশ্ন করা হলে সড়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সড়ক এবং রেল মন্ত্রণালয় থেকে টিম থাকবে। তারা নিজে এসব জায়গা পরিদর্শন করবে। ঈদে মানুষের যাতায়াতটা যেন সুন্দর হয় এবার সেই ব্যবস্থাটা আমরা করার চেষ্টা করছি।’’
মহাসড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, ‘‘সড়কপথে কোথাও কোনো ধরনের চাঁদাবাজি কেউ করতে পারবে না। এরকম কখনো তথ্য পেলে আমাদের কাছে দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।’’
ঢাকা/আসাদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।