‘কোথাও যাচ্ছি না, অবসরও নিচ্ছি না’- চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে রোহিত
Published: 10th, March 2025 GMT
‘‘আর একটা কথা, আর কোনও গুজব যাতে না ছড়ায়, সেজন্য জানাচ্ছি, আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেব না। ’’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল জয়ের পর ট্রফি হাতে, গলায় মেডেল জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন শিরোপাজয়ী রোহিত শর্মা। লম্বা সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। সবশেষে রোহিত নিজ থেকে এমন ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত সবাইকে অবাক করে দেন।
২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাট ছেড়ে দেন রোহিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বললেও রোহিত চালিয়ে যান ঘরোয়া ক্রিকেট। ওয়ানডে রোহিত কবে ছাড়বেন তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছিল। বিশেষ করে ২০২৭ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে ভারত কোন পরিকল্পনায় এগিয়ে যাবে সেটাও ছিল ভাবনার।
২০২৫ সালে ভারত জিতল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। নিউ জিল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জয়ের নায়ক রোহিত। ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় রোহিত ৭৬ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু রোহিতের। ২৭৩ ম্যাচে তার রান ১১ হাজার ১৬৮। ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬৪ রান তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
ভারতের শিরোপা জয়ের পেছনে দলের পারফর্মারদের গভীরতা, নিজেদের বোঝাপড়া এবং উপভোগের মন্ত্রর কথা বললেন রোহিত, ‘‘এটা (চ্যাম্পিয়নস ট্রফি) দলের কোয়ালিটি প্রমাণ করে। দলের গভীরতা প্রকাশ করছে। নিজেদের বোঝপড়া, উপভোগ করার মানসিকতা, উদযাপনের মন্ত্র সব কিছু মিলিয়ে আমাদের দল। এভাবেই আমরা ক্রিকেটটা খেলতে চাই। বাইরে থেকে প্রচুর চাপ আসে। আমাদের নিয়ে অনেক জল্পনা হয়। কিন্তু ছেলেরা বাইরের সেই চাপ, আবেগ সামলে নিয়ে কিভাবে ম্যাচ জিততে পারব এবং খেলাটা উপভোগ করতে পারব সেদিকে মনোযোগ দেয়।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের
নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/রূপায়ন/বকুল