Samakal:
2025-05-01@05:45:26 GMT

রোহিতের মুকুটে আরেকটি পালক

Published: 10th, March 2025 GMT

রোহিতের মুকুটে আরেকটি পালক

পাঁচ ফুট ৯ ইঞ্চির উচ্চতার কারও ওজন ৬৫.৩ থেকে ৭৯.৮ কেজি হয়ে থাকে। সেই হিসাবে রোহিত শর্মার ৭২ কেজি ওজন অন্তত বাড়াবাড়ি কিছু নয়। কিন্তু যা হয় আর কি, প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স না হলে লোকে তাঁর ওজন নিয়েই কথা বলে থাকে। এতদিন আড়ালে-আবডালে থাকলেও কিছুদিন আগে ভারতের কংগ্রেস মুখপাত্র শামা মুহাম্মদের একটি এক্স হ্যান্ডেল বার্তা তাতে ঝড় তোলে। শামা তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে রোহিতকে ‘মোটা’ বলে সমালোচনা করেন। যার উত্তরে সুনীল গাভাস্কার এক টকশোতে বলেন, ‘যদি শুধু চিকন ছেলেদের চান, তবে মডেলিং প্রতিযোগিতায় গিয়ে মডেলদের বেছে নিন। ক্রিকেট মাঠে দরকার পারফরম্যান্স, চেহারা নয়। বড় ইনিংস খেলতে গেলে মানসিক দৃঢ়তা থাকা সবচেয়ে জরুরি। কেউ কতক্ষণ উইকেটে থাকতে পারে, কত ভালো ব্যাট করতে পারে– সেটাই আসল বিষয়।’ 

পোড়খাওয়া গাভাস্কারের কথাগুলোই আরেকবার সত্য প্রমাণিত করে দিলেন রোহিত শর্মা। ফাইনালের মতো বড় মঞ্চেই হাত খুললেন তিনি ৮৩ বলে ৭৬ রান করে। বিশ্বসেরার মঞ্চে গত বছরের টি২০ বিশ্বকাপের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের মুকুট পরে নিলেন তিনি।

রোহিতের টস ভাগ্য খারাপ হতে পারে, তা না হলে টানা ১২ ম্যাচে টস হেরে কেন তাঁর নাম বসবে লারার পাশে। ক্যাচ ফেলানোতেও বেখেয়ালি হতে পারেন, তা না হলে ড্যারেল মিচেলের ক্যাচ কেন পড়বে তাঁর হাত থেকে। কিন্তু এত কিছুর পরেও মাঠে তাঁর অভিজ্ঞ নেতৃত্বকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। সে কারণেই তিনি একমাত্র অধিনায়ক, যিনি কিনা আইসিসির ভিন্ন ভিন্ন চারটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে দলকে নিয়ে গেছেন এবং যার দুটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। হয়তো মাহেন্দ্র সিং ধোনির মতো তাঁকে কেউ ‘ক্যাপ্টেন কুল’ বলেন না। তবে বিরাট কোহলি ও রোহিতদের এই দলটি যেভাবে গত তিন বছর ধরে দলকে শীর্ষে নিয়ে গেছেন, তাতে ‘ক্যাপ্টেন হিটম্যান’ বলা যায় তাঁকে। তবে ফাইনালের এই মঞ্চ ঘিরে একটি বিশাল অপূর্ণতা ছিল তাঁর।

গত ১৮ বছর ধরে আইসিসির আটটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে একটি হাফ সেঞ্চুরিও ছিল না রোহিতের ব্যাটে। ২০০৭ টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে ৩০, ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ৯, ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত ম্যাচে ২৯, ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে শূন্য, ২০২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪ ও ৩০ রানে আউট হয়েছিলেন। এর পর ২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দুই ইনিংসে ১৫ ও ৪৩, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪৭ রানের পর গত বছর টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে করেন মাত্র ৯ রান। ফাইনালে কোথায় গিয়ে যেন আটকে যায় রোহিতের ব্যাট। অবশেষে সেই আক্ষেপ পূরণ করে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। তবে সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও হারিয়েছেন এদিন। 

আসলে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর থেকেই কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে ওডিআই খেলেছেন রোহিত। ২০২৪ সালে মাত্র তিনটি ওডিআইয়ে দেখা গেছে তাঁকে। এবার অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির কারণে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছিলেন নেতৃত্ব দিতে। কটকে ইংলিশদের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও যেন মন ভরেনি অনেকের। তাই যখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪১, পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫ রান করলেন; তখন সেই আবার ফিসফাস– সব তো বাকিরাই করছেন, অধিনায়ক করছেন কী? 

এই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন গতকাল ফাইনালে। শুভমান গিলকে নিয়ে রোহিত শুরুতে তাঁর ‘হিটম্যান’ মেজাজে ৪১ বলে ফিফটি করার পর যখন ১০৫ থেকে ১০৬ রানের মধ্যে গিল আর কোহলি আউট হয়ে যান, তখন ৬৯ রানে থাকা রোহিত কিছুটা শ্লথ খেলায় মনোযোগী হন। কিন্তু ‘হিটম্যানের’ কি আর ওভাবে চলে, তাই রাচিনকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উইকেট দিতে হয় তাঁকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প র ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম

চট্টগ্রাম টেস্টে আজ প্রথম দিনে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেনতাইজুল ইসলাম। টেস্টে এ নিয়ে ১৬তমবার ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন  বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার। প্রথম দিনের খেলা শেষে তাইজুলের প্রশংসা করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দেন তামিম ইকবাল।

আরও পড়ুনতাইজুলের মনে হয় না তারা খেলা বোঝে১ ঘণ্টা আগে

বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের পেজে তাইজুলের একটি ছবি পোস্ট করে লেখা হয়, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত (আন্ডাররেটেড) বোলার। এখন খেলা অন্য বোলারদের পরিসংখ্যান দেখুন, তাহলে আমার কথাটা বুঝতে পারবেন। আরেকবার ৫ উইকেট নিয়ে দারুণ খেলেছ তাইজুল।’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও ডিসেম্বরে ওয়ানডে অভিষেক তাইজুলের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ২০১৯ সালে। ওয়ানডে (২০) ও টি-টোয়েন্টির (২) চেয়ে টেস্ট ম্যাচই (৫২) বেশি খেলেন তাইজুল। চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি টেস্টে প্রথম দিনের পারফরম্যান্সসহ মোট ৫৩ টেস্টে এ পর্যন্ত ২২৪ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। তাঁর টেস্ট সংস্করণের পারফরম্যান্সটা যাচাই করে দেখা যায়।

এখনো যাঁরা খেলছেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেট নাথান লায়নের। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনারের টেস্ট অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেকের সময় থেকে লায়নের পারফরম্যান্স—   ১০৩ টেস্টে ২৯.৪৮ গড়ে ৪৪১ উইকেট। মোট ২৪ বার ৫ উইকেট নিলেও তাইজুলের অভিষেকের পর থেকে ১৯ বার ৫ উইকেট নেন লায়ন। তবে অস্ট্রেলিয়া দল বাংলাদেশের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলায় লায়ন এ সময়ে তাইজুলের চেয়ে অনেক বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন। বোলিং গড় এবং স্ট্রাইকরেটে লায়ন ও তাইজুলের মাঝে ব্যবধান বেশি না। তাইজুলের বোলিং গড় ৩১.৫৬, স্ট্রাইক রেট ৬১.৯, যেখানে লায়নের স্ট্রাইকরেট ৬১.৬ ও গড় ৩০.১৯।

আরও পড়ুনতাইজুলের ভেলকি, শেষ সেশনে গেল ৭ উইকেট২ ঘণ্টা আগে

ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন গত বছর ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়েন। টেস্টে তার অভিষেক ২০১১ সালে। তাইজুলের টেস্ট অভিষেক থেকে এই সংস্করণে ৮৫ ম্যাচে ২২.৮৪ গড়ে ৪৩০ উইকেট নেন অশ্বিন। এ সময়ে ২৮ বার পেয়েছেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার মতো ভারতও বেশি বেশি টেস্ট খেলায় স্বাভাবিকভাবেই এ সময়ে তাইজুলের তুলনায় বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছেন অশ্বিন।

ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তাইজুলের অভিষেকের দুই বছর আগে টেস্টে অভিষেক জাদেজার। তাইজুলের অভিষেকের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৬৮ টেস্টে ২৭৮ উইকেট নিয়েছেন জাদেজা। তবে তাঁর চেয়ে এ সময়ে বেশি সংখ্যকবার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। জাদেজা এ সময়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১৩ বার, তাইজুল নিয়েছেন ১৬ বার।

তাইজুল ৫ উইকেট নেওয়ার পর তাঁকে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ক নাজমুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
  • মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের
  • আজিজুল হাকিমের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, কলম্বোয়ও হেসেছে বাংলাদেশ
  • ‘বাজপাখি’ মার্তিনেজের বাজে ফর্ম, আর্জেন্টিনার জন্য কতটা দুশ্চিন্তার
  • সমালোচকরা খেলা বোঝে না!—আক্ষেপ তাইজুলের
  • তাইজুলকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অবমূল্যায়িত বোলার’ বললেন তামিম
  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও