মানসম্পন্ন শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা না গেলে অর্থনৈতিক উন্নতির পরবর্তী ধাপে পৌঁছানো কঠিন হবে। আর শোভন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন জরুরি। যুব সম্প্রদায়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শোভন কর্মসংস্থান খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগও দরকার। 
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জাতীয় এসডিজি রিপোর্ট (ভিএনআর) ২০২৫: যুবসমাজের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ আয়োজনে সহযোগিতা করে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ এবং ইউনাইটেড নেশনস পোভার্টি-এনভারমেন্ট অ্যাকশন।

এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক এবং গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড.

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা সহযোগী সওরোজা তালুকদার। অনুষ্ঠানে তরুণরা সরাসরি তাদের মতামত তুলে ধরেন। তৃতীয় ভিএনআর প্রতিবেদনে এসব মতামত অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেন সংশ্লিষ্টরা। তরুণরা শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাকস্বাধীনতা এবং জলবায়ু– এই চারটি বিষয়ে তাদের মতামত দেন। সরকার ব্যবস্থাপনা আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা এবং সব খাতের প্রতিনিধিত্ব চান তারা।
অনুষ্ঠানে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষা ও শোভন কর্মসংস্থান নিশ্চিত না হলে পরবর্তী ধাপে যাওয়া কঠিন হবে। তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাকস্বাধীনতা এবং জলবায়ু খাতে বেশ উন্নতি হয়েছে। তবে এর সুফল সমগ্রিকভাবে নায্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছায়নি। আগামীতে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় ক্ষমতার ভারসাম্য নিশ্চিতের ওপর জোর দেন। 
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শোভন কর্মসংস্থান করতে গেলে নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করা জরুরি। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্নমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় আনার ওপর জোর দেন। 

তিনি আরও বলেন, অগ্রাধিকার সমস্যার প্রতিটির ভেতরে আরও অগ্রাধিকার ইস্যু আছে। এর মধ্যেও অনেক টানাপোড়েন আছে। আমরা কীভাবে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটাই বড় কথা। সেটা যদি ভালোভাবে করা যায় তাহলে প্রতিবেদন (ভিএনআর) ভালোভাবে হবে। প্রতিবেদন ভালো হলো কিন্তু কাজের কাজ হলো না– যা অতীতে হয়েছে। তাহলে কিন্তু অগ্রগতি হবে না। 
ইউএনডিপি বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি আনোয়ারুল হক বলেন, স্বপ্রণীত জাতীয় পর্যালোচনার ভিত্তিতে ভিএনআর প্রতিবেদন প্রস্তুত হওয়ার কথা। কিন্তু এ প্রতিবেদন চূড়ান্তকরণে হস্তক্ষেপ ছিল বেশি। তাই প্রতিবেদনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। নাগরিকের মতামতের ভিত্তিতেই পরবর্তী প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে শুধু সাফল্য নয়, ব্যর্থতার বিষয়েও উল্লেখ থাকবে।  
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (এসডিজি-বিষয়ক) শিহাব কাদের বলেন, প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে যুবসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিভাগে যুব সেন্টার চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান। 
অনুষ্ঠানে উপস্থাপিত যুব ঘোষণাপত্রে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যুব সমাজের ভূমিকা যে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে, যেসব উন্নয়নশীল দেশ যুব সম্প্রদায়ের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শোভন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করেছে, সেসব দেশ দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়ন অর্জনে সক্ষম হয়েছে। দারিদ্র্যের মাত্রাও সেসব দেশ দ্রুত হারে হ্রাস করতে পেরেছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র মত মত এসড জ

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার’ ও ‘রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ইন ফিজিক্স’ প্রদানের জন্য দেশের পদার্থবিজ্ঞানী ও গবেষকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

কোন সালের জন্য পুরস্কার —

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০ ও ২০২১ সালের গবেষণা কাজের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

পুরস্কার মল্যমান কত —

১. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে মৌলিক গবেষণার জন্য পুরস্কার পাওয়া গবেষককে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার হিসেবে নগদ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।

২. পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে আজীবন অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একজন বিজ্ঞানী বা গবেষককে নগদ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের রাজ্জাক শামসুন নাহার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ —

আগ্রহী প্রার্থীদের আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) বরাবর আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে—

আবেদনকারীদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তিন কপি আবেদনপত্র, তিন প্রস্থ জীবনবৃত্তান্ত, তিন প্রস্থ গবেষণাকর্ম এবং তিন কপি ছবি আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

দরকারি তথ্য—

১. জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকাশিত গবেষণাকর্ম পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবে।

২. যৌথ গবেষণা কাজের ক্ষেত্রে গবেষণা পুরস্কারের অর্থ সমান হারে বণ্টন করা হবে। এ ক্ষেত্রে সহযোগী গবেষক বা গবেষকের অনুমতি নিয়ে আবেদন করতে হবে।

৩. আবেদনকারী যে বছরের জন্য আবেদন করবেন পাবলিকেশন ওই বছরের হতে হবে।

৪. একই পাবলিকেশন দিয়ে পরবর্তী বছরের জন্য আবেদন করা যাবে না।

৫. কোন কারণে একজন প্রার্থী পুরস্কারের জন্য আবেদন করলে প্রার্থিতার স্বল্পতা বিবেচনা করে তাঁর আবেদন বিবেচনা করা হবে।

৬. পরীক্ষক তাঁর গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য সুপারিশ না করলে তাঁকে পুরস্কারের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে না।

৭. পদার্থবিজ্ঞানে রাজ্জাক শামসুন নাহার গবেষণা পুরস্কার একবার প্রাপ্ত গবেষকও পরবর্তী সময়ে আবেদন করতে পারবেন।

৮. নতুন গবেষককে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

৯. যদি মানসম্মত গবেষণা কাজ না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে পূর্বের পুরস্কার পাওয়া গবেষকের নতুন গবেষণা কাজের পুরস্কারের জন্য পরীক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হবে।

# আবেদন জমা দেওয়ার ঠিকানা: প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল, ভোলা সদরে কার্যক্রম স্থগিত
  • জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হলো কেন
  • বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা পুরস্কার এবং লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডের আবেদন করুন
  • নোবিপ্রবিসাসের বর্ষসেরা সাংবাদিক রাইজিংবিডি ডটকমের শফিউল্লাহ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ১০০ কোটির সম্পদ, স্বামীর প্রতারণা, ৪৭ বছর বয়সেই মারা যান এই নায়িকা
  • তানজানিয়ায় ‘সহিংস’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৮ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী সামিয়া
  • শিল্পের আয়নায় অতীতের ছবি
  • সনদ বাস্তবায়নে আবারো কমিশনের সভা আয়োজনের দাবি