সড়কের ভিড় মেট্রোতে, ইফতারের আগে ছিল ভয়াবহ অবস্থা
Published: 10th, March 2025 GMT
সোমবার ছিল নবম রোজা। এদিন বিকেলে মেট্রোরেলে অস্বাভাবিক ভিড় ছিল। একদিকে অফিস খোলা, অন্যদিকে সকাল থেকে সড়কে গণপরিবহন চলাচলে স্থবিরতা। ফলে যাত্রীদের পুরো চাপ গিয়ে পড়ে মেট্রোরেলে। বিকেলে অফিস ছুটির আগেই মতিঝিল থেকে উত্তরামুখী মেট্রোর কামরায় উপচে পড়ে মানুষ। কোনো কোনো স্টেশনে বগির ভেতরে ঠেলে ঠেলে মানুষের জায়গা করে দিচ্ছিলেন বাইরে অপেক্ষারত অন্য যাত্রীরা। এরপরও মেট্রোরেলের ভেতরে জায়গা হচ্ছিল না, বন্ধ হচ্ছিল না দরজা। তখন ঘোষণা দিয়ে দিয়ে দরজা থেকে সরে দাঁড়াতে বলা হচ্ছিল যাত্রীদের।
বেলা সাড়ে তিনটা থেকেই মতিঝিল থেকে শুরু হয় বাড়িমুখী মানুষের ঢল। মতিঝিলে অবস্থিত আইএফআইসি ব্যাংকের প্রধান শাখার একজন কর্মকর্তা বলছিলেন, ভিড়ের চাপে তাঁর কাঁধের ব্যাগের ফিতাটি ছুটে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
আইএফআইসি ব্যাংকের কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা একসঙ্গে যাতায়াত করেন। তাঁদের কাছ থেকে জানা গেল, রোজার নতুন সময়সূচি অনুযায়ী আড়াইটার সময় ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। অফিস চারটা পর্যন্ত হলেও অনেকেই রোজার জন্য বেলা তিনটা থেকে সাড়ে তিনটার মধ্যেই বের হয়ে মেট্রো স্টেশনমুখে ছুটতে শুরু করেন। চারটার মধ্যে মতিঝিল স্টেশনে চলে আসেন।
কোনোরকমে ঠেলেঠুলে ভেতরে প্রবেশ করা গেছে। অনেকেই তখন মেট্রোতে প্রবেশের অপেক্ষায়। ঢাকা, ১০ মার্চ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: মত ঝ ল
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।
গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।
আরো পড়ুন:
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান
এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।
অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।
ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”
হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।
ঢাকা/আমিনুল