হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ ও পাঁচদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহীর সব চিকিৎসক।

মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সামনে বিক্ষোভ থেকে এ ঘোষণা দেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা.

মনোয়ার তারিক সাবু বলেন, পাঁচ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহীর কোনো চিকিৎসক প্রাইভেট প্র্যাকটিস করবেন না বলে সম্মত হয়েছেন। আগামীকাল হাইকোর্টের রায়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ এবং পাঁচ দফা দাবি মেনে না নেওয়া হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

এর আগে চিকিৎসকরা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির পাশাপাশি বহির্বিভাগের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগের গেটের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এদিকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকরাও।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব ইন্টার্ন চিকিৎসক কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেছে, দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো হচ্ছে-

১। এমবিবিএস কিংবা বিডিএস ডিগ্রি ব্যতীত কেউ নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার না করা।

২। বিএমডিসির বিরুদ্ধে করা রিট প্রত্যাহার, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ওটিসি ড্রাগ লিস্ট আপডেট করা।

৩। স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসকের সংকট নিরসন, এমটিএস ও নিম্নমানের মেডিকেল কলেজ বন্ধ করা ও চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন।

৪। দ্রুত ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়ে শূন্যপদ পূরণ করতে হবে।

৫। ডাক্তারদের বিসিএসের বয়সসীমা ৩৪ বছর পর্যন্ত করার দাবি।

আগামীকাল রায়ে একমত না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে হল ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

কর্মসূচিতে রামেক অধ্যক্ষ ডা. খন্দকার ফয়সাল আলম, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. আজিজুল হক আজাদসহ সিনিয়র শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক ম ড ক ল কল জ চ ক ৎসকদ র চ ক ৎসকর

এছাড়াও পড়ুন:

১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা

মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আহত ১ হাজার ২০০ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছে বাংলাদেশের একদল চিকিৎসক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ওই চিকিৎসকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৮ মার্চ ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মিয়ানমার। এতে তিন হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভূমিকম্পে আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে গঠিত একদল চিকিৎসক ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মিয়ানমারে অবস্থান করেন। তারা আহত ১ হাজার ২০০ জনের চিকিৎসা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০০ জনকে সার্জারি করা হয়েছে। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসক দলের উদ্দেশে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, মানবতার ধর্মই পরম ধর্ম। এ ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আপনারা যেভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন, সেটা প্রশংসনীয়। এই প্রশংসনীয় কাজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমানসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১২০০ আহতকে সেবা দিলেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা
  • চিকিৎসক মাত্র ৩ জন, অন্তঃসত্ত্বাদের সেবায় নার্স, দাঁতের চিকিৎসায় টেকনোলজিস্ট