হাসিনার চরিত্র ফুটে উঠলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে: শিবির সভাপতি
Published: 11th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘‘যার মধ্যেই হাসিনার চরিত্র ফুটে উঠবে, যাদের মধ্যে ফ্যাসিজম তৈরি হবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে।’’
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী কলেজের রজনীকান্ত সেন মঞ্চে ছাত্রশিবিরের আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ১১ মার্চ ছাত্রশিবিরের শহীদ দিবস উপলক্ষে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবির এ আলোচনাসভা ও পবিত্র কুরআন বিতরণের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠান শেষে ২৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে পবিত্র কুরআন শরীফ বিতরণ করা হয়।
সভায় জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘শহীদ সাব্বির, শহীদ আইয়ুব—তাদের অপরাধ কী ছিল? তারা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং সমাজের ছাত্রদের সৎ পথে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাদের এই আহ্বানে ছাত্রসমাজ সাড়া দিতে শুরু করলে, সমাজ ও ক্যাম্পাসে অন্যদের অপকর্ম বাধাগ্রস্ত হয়। আর এটিই তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।’’
তিনি বলেন, ‘‘অতীত ও বর্তমান নিয়ে পড়ে থাকলে ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব নয়। অতীতেও আমাদের নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করা হয়েছে, এখনো করা হয়। ১৯৮২ সালে যখন আমাদের ভাইদের হত্যা করা হয়েছিল, তখন অনেকে ভেবেছিল ছাত্রশিবির শেষ হয়ে গেছে, ইসলামী আন্দোলন নিঃশেষ হয়ে যাবে কিন্তু বাস্তবতা ছিল ভিন্ন।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘শাহবাগ আন্দোলনের সময়ও তারা মনে করেছিল, বাংলাদেশ তাদের দখলে চলে গেছে, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলার মতো কেউ থাকবে না। কিন্তু সময় প্রমাণ করেছে, মানুষ এখনো আছে, ২০২৪ সালে তরুণ প্রজন্ম সেটাই দেখিয়ে দিয়েছে।’’
আগামী দিনে বাংলাদেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করলেই শহীদ আলী রায়হান, আবু সাঈদ, শান্ত ও মুগ্ধদের আত্মা শান্তি পাবে।’’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামীম উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় তথ্য ও ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ হোসাইন আহমেদ মেহেদী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজির।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়