রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জামিয়া আম্বর শাহ আল ইসলামিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিশুদের জন্য ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করেছে প্রথম আলো।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে প্রথম আলোর প্রশাসন বিভাগের পক্ষ থেকে এতিমখানা কর্তৃপক্ষের কাছে ২৬০ শিশুর জন্য ইফতারি ও রাতের খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়।
ইফতারির প্যাকেটে ছিল খেজুর, বেগুনি, ছোলা, পেঁয়াজু, আলুর চপ, মুড়ি, জিলাপি ও জুস। আর রাতের খাবার হিসেবে দেওয়া হয় কাচ্চি বিরিয়ানি।

ইফতারের আগে এতিমখানায় দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন আম্বর শাহ শাহি জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক মাওলানা মো.

নুরুল হক শেখ। এ সময় মাওলানা আল আমিনসহ মাদ্রাসা ও এতিমখানার দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

মোনাজাতে দেশ ও প্রথম আলোর সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতি কামনা করা হয়। পাশাপাশি ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের প্রয়াত সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

মোনাজাত শেষে এতিম শিশুদের সঙ্গে ইফতারে অংশ নেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক, হেড অব হিউম্যান রিসোর্স মো. শামীম খান, হেড অব মার্কেটিং আজওয়াজ খান, ডেপুটি হেড অব আইটি মো. মনোয়ার আজম, প্রশাসন বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এ বি এম খায়রুল কবির, প্রশাসন বিভাগের নির্বাহী মো. আতিকুর রহমান প্রমুখ।

জামিয়া আম্বর শাহ আল ইসলামিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিশুদের জন্য ইফতার ও রাতের খাবারের আয়োজন করে প্রথম আলো। ইফতারের আগে দোয়া ও মোনাজাতে শিশুরা। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১১ মার্চ

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল ইফত র র

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ